জার্মানির মধ্যবর্তী নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে ভোটগ্রহণ চলবে।
গত নভেম্বেরে এসপিডির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ভেঙে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়ের আগেই মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জনমত জরিপে জার্মানির মধ্যডানপন্থী দল সিডিইউ এগিয়ে রয়েছে।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভোটকেন্দ্রগুলো বন্ধ হওয়ার পরপরই সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৬টা ৩০ মিনিটের মধ্যে প্রাথমিক ফলাফল বা এক্সিট পোল প্রকাশিত হবে।
জার্মানির জনমত জরিপ প্রতিষ্ঠান এআরডি-ডাচল্যান্ডট্রেন্ডের সবশেষ জরিপ অনুসারে, জার্মান জনগণের কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো অভিবাসন, যা ৩৭ শতাংশ মানুষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন। গত মাসের তুলনায় এটি ১৪ শতাংশ বেড়েছে।

এছাড়া অর্থনীতির অবস্থা, সশস্ত্র সংঘাত, পররাষ্ট্রনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ সুরক্ষা, অসমতা, দারিদ্র্যতা, শিক্ষা, সন্ত্রাস ও অপরাধ, পেনশন ব্যবস্থা, মুদ্রাস্ফীতি ও স্বাস্থ্যসেবার মতো বিষয়গুলো আলোচনায় আছে।
অবশ্য জরিপ বলছে, সম্প্রতি অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ কিছুটা কমেছে। এ অবস্থায় নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রধান দলগুলো বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
জার্মান চ্যান্সেলর কিভাবে নির্বাচিত হন?
প্রতিটি দল নির্বাচনের আগে তাদের শীর্ষ প্রার্থী মনোনীত করে। নির্বাচনের পর দলগুলো সরকার গঠনের জন্য জোট গঠনের চেষ্টা করে।
জার্মান প্রেসিডেন্ট সংসদে চ্যান্সেলর পদের জন্য একজন প্রার্থী মনোনীত করেন। সংসদ সদস্যদের গোপন ভোটে নির্ধারিত হয় চ্যান্সেলর।
জার্মানির নির্বাচন ব্যবস্থা কেমন?
জার্মানির নির্বাচন ব্যবস্থা গণতন্ত্র ও আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব-এর সমন্বয়ে গঠিত। প্রত্যেক ভোটার দু’টি ভোট দেন:
প্রথম ভোট : সরাসরি একজন সংসদ সদস্য নির্বাচনের জন্য।
দ্বিতীয় ভোট : একটি রাজনৈতিক দলের জন্য।
দ্বিতীয় ভোটই মূলত সংসদে দলগুলোর অনুপাত নির্ধারণ করে। কোনো দল যদি ৫ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পায়, তবে তারা নিশ্চিতভাবে সংসদে আসন পায়।
আপনার মতামত লিখুন :