ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গোতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বিদ্রোহীদের সঙ্গে চলমান সংঘর্ষে ৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার, জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে কঙ্গোর প্রধানমন্ত্রী জুডিথ তুলুকা সুমিনওয়া এই তথ্য জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
কঙ্গোর প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে ৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, এর মধ্যে বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। এছাড়া ৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় ৪ লাখ ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।”
সম্প্রতি তুতসি নেতৃত্বাধীন মার্চ ২০২৩ মুভমেন্ট (এম২৩) কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে সরকারি বাহিনীকে পরাস্ত করে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ও অঞ্চল দখলে নিয়েছে। ওই অঞ্চলে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষে কঙ্গোর সরকারি বাহিনী কখনো এতটা কোণঠাসা হয়ে পড়েনি।
কঙ্গো সরকারের অভিযোগ, প্রতিবেশী দেশ রুয়ান্ডা এম২৩ বিদ্রোহীদের অস্ত্র ও সেনা সরবরাহ করছে। তবে রুয়ান্ডা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
প্রধানমন্ত্রী সুমিনওয়া মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে কঙ্গোর বিপুল সংখ্যক মানুষের উদ্বাস্তু হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন এবং নির্বিচার হত্যাকাণ্ড বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি একই সঙ্গে বিদ্রোহীদের সহায়তা প্রদানকারী দেশগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত ৫৮তম বৈঠকে ভাষণ দিয়ে বলেন, বিশ্বে মানবাধিকার পরিস্থিতি এখন ‘শ্বাসরুদ্ধকর’ অবস্থায় পৌঁছেছে, এবং কঙ্গোতে মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :