ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর আরোপিত বিধিনিষেধ এবং কঠোর ব্যবস্থা সত্ত্বেও পবিত্র রমজান মাসের প্রথম রাতে আল-আকসা মসজিদে তারাবির নামাজ আদায় করেছেন হাজারো ফিলিস্তিনি। শুক্রবার রাতে ফিলিস্তিনিরা জামায়াতে এ নামাজ আদায় করেন। শনিবার তারা রমজানের প্রথম রোজা পালন করছেন। খবর সাফা প্রেস এজেন্সির।
ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী শিশুদের হয়রানি ও ভয় দেখাচ্ছে। তাদের অবমাননাকর তল্লাশি চালাচ্ছে এবং শত শত মানুষকে নামাজের জন্য মসজিদে যেতে বাধা দিচ্ছে। বিশেষ করে ইসরায়েল ৫৫ বছরের কম বয়সী পুরুষ, ৫০ বছরের কম বয়সী নারী এবং ১০ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের উপর আল-আকসায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করার পর কঠোর হয় দখলদার বাহিনী। তারা অনেক মুসল্লিকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এমন কি তারা গুলিও চালায়। তবে সব ভয়কে জয় করে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তারাবির নামাজ আদায় করেন।
এর আগে ইসরায়েল ঘোষণা করেছে, রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদে নামাজের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। যার ফলে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে তাদের ব্যবস্থা আরও তীব্র হবে। এরপর রমজান মাসে জেরুজালেমের পুরাতন নগরীর আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন শুরু করে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র ডেভিড মেনসার।
ডেভিড মেনসার বলেন, জননিরাপত্তার স্বার্থে প্রতি বছরের মতোই স্বাভাবিক বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে।
গত বছর গাজার যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েল আল-আকসায় প্রবেশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, বিশেষ করে পশ্চিম তীর থেকে আসা ফিলিস্তিনিদের ক্ষেত্রে। এবার যুদ্ধবিরতির পর সংঘাতময় পরিস্থিতি শান্তির দিকে। তাই পবিত্র রমজান মাসে আল-আকসায় ফিলিস্তিনিদের প্রবেশে শিথিলতা কাঙ্ক্ষিত ছিল। কিন্তু এই বছরও সতর্কতা অবলম্বনের ঘোষণা দিয়ে মেনসার বলেন, সহিংসতা ও উসকানির যে কোনো চেষ্টাকে আমরা কঠোরভাবে প্রতিহত করব।