পবিত্র রমজান মাসে দখলকৃত জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ রক্ষায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
এক বিবৃতিতে হামাস পশ্চিম তীর, জেরুজালেম এবং ইসরাইলে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশ্য করে বলেছে, “রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদে উপস্থিত থাকুন, সেখানে দৃঢ় অবস্থান নিন এবং ইতেকাফ করুন। এই পবিত্র মাসের দিন ও রাতগুলো ইবাদত, দৃঢ় অবস্থান ও দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের জন্য উৎসর্গ করুন। যতদিন না আল-আকসা মুক্ত হয়, ততদিন এর প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।”
বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনিদের প্রতিও সংহতি প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে হামাস। তাদের প্রতি গাজা, পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ব্যাপক কর্মসূচি ও উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আল-আকসা মসজিদের খতিব শেখ ইকরিমা সাবরি অভিযোগ করেন যে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার অজুহাতে জেরুজালেমে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো মসজিদটিতে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশকে সীমিত করা।
প্রতি বছর রমজান মাসে ইসরায়েল এমন বিধিনিষেধ আরোপ করে, যা দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে। ফিলিস্তিনিরা মনে করেন, এই পদক্ষেপ আল-আকসা মসজিদের ইসলামি পরিচয় মুছে ফেলার বৃহত্তর ইসরায়েলি নীতির অংশ।
উল্লেখ্য,আল-আকসা মসজিদ ইসলাম ধর্মের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। তবে ইহুদিরা এটিকে ‘টেম্পল মাউন্ট’ বলে অভিহিত করেন এবং দাবি করেন, এখানে প্রাচীনকালে দুটি ইহুদি মন্দির ছিল।
১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে এবং ১৯৮০ সালে পুরো শহর সংযুক্ত করার ঘোষণা দেয়, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনো স্বীকৃতি দেয়নি।
গত বছরের জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (ICJ) ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম থেকে সব বসতি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়।