সামরিক শক্তির দিক থেকে মুসলিম দেশগুলো একসময় বিশ্বে নেতৃত্ব দিলেও বর্তমান সময়ে পশ্চিমা দেশগুলোর আধিপত্য স্পষ্ট। তবে কিছু মুসলিম দেশ এখনো সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করে চলছে।
সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার (GFP) সম্প্রতি ২০২৫ সালের প্রতিবেদনে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ১৪৫টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যেও বেশ কয়েকটি দেশ উল্লেখযোগ্য স্থান অর্জন করেছে।
শীর্ষ ১০ মুসলিম সামরিক শক্তিধর দেশ
১. তুরস্ক – গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে তুরস্ক বিশ্বের নবম সামরিক শক্তিধর দেশ এবং মুসলিম বিশ্বের মধ্যে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।
২.পাকিস্তান – সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে পাকিস্তান মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় এবং বিশ্ব তালিকায় ১২তম স্থানে রয়েছে। এটি পরমাণু অস্ত্রধারী একমাত্র মুসলিম দেশ।
৩.ইন্দোনেশিয়া – দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া তালিকায় মুসলিম বিশ্বের তৃতীয় এবং বিশ্বে ১৩তম শক্তিশালী দেশ হিসেবে জায়গা পেয়েছে।
৪.ইরান – মুসলিম বিশ্বের চতুর্থ এবং বিশ্ব তালিকায় ১৬তম অবস্থানে রয়েছে ইরান। দেশটি নিজস্ব সামরিক উৎপাদন ক্ষমতা গড়ে তুলেছে এবং পরমাণু অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে ধারণা করা হয়।
৫.মিশর – আফ্রিকার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ মিশর মুসলিম বিশ্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
৬.সৌদি আরব – মুসলিম বিশ্বের মধ্যে ষষ্ঠ এবং বিশ্ব তালিকায় শক্তিশালী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।
৭.আলজেরিয়া – উত্তর আফ্রিকার দেশ আলজেরিয়া মুসলিম বিশ্বের সপ্তম এবং বিশ্বে উল্লেখযোগ্য সামরিক শক্তিধর দেশ হিসেবে র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছে।
৮.নাইজেরিয়া – আফ্রিকার আরেক শক্তিশালী দেশ নাইজেরিয়া মুসলিম বিশ্বে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে।
৯.বাংলাদেশ – বিশ্ব তালিকায় ৩৫তম এবং মুসলিম বিশ্বের মধ্যে নবম শক্তিশালী দেশ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
১০.মালয়েশিয়া – তালিকার দশম স্থানে রয়েছে মালয়েশিয়া, যা মুসলিম বিশ্বের অন্যতম সামরিক শক্তিধর দেশ হিসেবে বিবেচিত।
বিশ্ব মঞ্চে মুসলিম দেশগুলোর সামরিক অবস্থান
যদিও সামরিক সক্ষমতায় মুসলিম দেশগুলো একসময় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় শক্তি ছিল, বর্তমানে তারা প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা খাতে উন্নতি করলেও পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। তবে তুরস্ক, ইরান, পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মতো দেশগুলো প্রতিরক্ষা খাতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করছে এবং বিশ্ব রাজনীতিতে তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার রিপোর্ট ২০২৫
আপনার মতামত লিখুন :