উৎসবের রঙে রঙিন রিও ডি জেনেরিও, উৎসবে মেতেছে লাখো মানুষ

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২৫, ০২:৩৮ পিএম

উৎসবের রঙে রঙিন রিও ডি জেনেরিও, উৎসবে মেতেছে লাখো মানুষ

ছবিঃ সংগৃহীত

ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো। পুরো নগরীতে সাজ সাজ রব। বাহারি পোশাকে প্যারেডে অংশ নিয়েছেন সব বয়সি হাজার হাজার মানুষ। সেখানে চলছে বিশ্বের সবচেয়ে জমকালো উৎসব রিও কার্নিভাল।

 সপ্তাহব্যাপী এই উৎসবে এবার দর্শনার্থী আসতে পারে কয়েক লাখ। রিও ডি জেনিরো এখন উৎসবের নগরী। সর্বত্রই সাজ সাজ রব। সাম্বার ছন্দে মেতেছে লাখ লাখ ব্রাজিলবাসী। জমকালো সাজে রাস্তায় নেমেছেন, সব বয়সি মানুষ। ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনিরোর সাম্বাড্রোমে নেচে গেয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ কার্নিভালের প্যারেডে অংশ নিচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। 

বেস্ট শো অন আর্থ হিসেবে পরিচিত রিও কার্নিভালে নগরীর প্রতিটা স্কুল আলাদা করে তৈরি করেছে একেকটি গল্প, যা গান, পোশাক আর প্যারেডের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে। বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘কার্নিভাল আমাদের জীবন। কৃষ্ণাঙ্গ সবাই এ কার্নিভাল ভালোবাসে। বাবা-মা সবসময় সঠিক উপদেশই দেন।’ আরেকজন বলেন, ‘আমার জন্য কার্নিভালই জীবন। বিষণœতা থেকে মুক্তি পাই। এ জন্য কার্নিভাল আমার জন্য জীবন।’ 

কার্নিভালের প্রথম দুই দিনে সাম্বা স্কুলগুলোয় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শুধু তাই নয়, রিও কার্নিভাল উপলক্ষে উপক‚লীয় রিও ডি জেনিরোতে সব বয়সি মানুষ গায়ে কাদা মেখে ঐতিহ্যের এ উৎসব উদযাপনে মেতেছেন। আকর্ষণীয় নানা প্রতিযোগিতা আর খেলাধুলা ছাড়াও এ কার্নিভালে আয়োজন করা হয়েছে ভিন্নধর্মী সব পারফরমেন্সের। ফ্লামেঙ্গো সমুদ্রসৈকতে সকালে শুরু হয়ে প্রায় সারা দিনই সুরের মূর্ছনায় চলেছে নানা আয়োজন। সপ্তাহব্যাপী উৎসবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছে লাখ লাখ পর্যটক। 

পুরো রিও ডি জেনিরো পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে। ব্রাজিলে কার্নিভাল বরাবরই আকর্ষণীয়। কিন্তু তাই বলে এ কথা মনে করার কোনো কারণ নেই, কার্নিভাল শুধু রিও বা ব্রাজিলেই সীমাবদ্ধ। অনলাইন বুৎপত্তি অভিধান অনুযায়ী, কার্নিভাল শব্দটি এসেছে পর্তুগিজ শব্দ ‘কার্নে ভ্যাল’ থেকে। যার বুৎপত্তিগত অর্থ বিদায়ের আগে মিলিত হওয়া। এ জাতীয় মিলিত হওয়ার ক্ষেত্রে নাচানাচি বা মোচ্ছবের কোনো স্থান থাকার কথা না। 

কিন্তু, বর্তমানে নাচ-গান কার্নিভালের অঙ্গ। আর এটা এসেছে খ্রিস্টানদের ‘লেন্ট’ থেকে। এ কার্নিভালের সময়কাল ইস্টার পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ইস্টার হলো সেই উৎসব, যে দিন বিশ্বাস করা হয় যে যিশু খ্রিস্ট তার ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার পরে মৃতদের মধ্যে থেকে জীবিত হয়েছিলেন। ‘লেন্ট’ সাধারণত ৪০ দিনের জন্য পালন করা হয়। রিও উদযাপন শুরু হয় ‘অ্যাশ বুধবার’-এর ঠিক এক সপ্তাহ আগে এবং এ পার্টিগুলো ডিসেম্বরে শুরু হয়।

 ‘লেন্ট’-এর প্রথম দিন ‘অ্যাশ বুধবার’ এ বছর ২২ ফেব্রæয়ারি পড়েছে। এ সময় রিও-র কার্নিভাল শেষ হয়ে যাবে।

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!