যুক্তরাষ্ট্র নতুন বাণিজ্য নীতির আওতায় কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের ওপর কঠোর শুল্কারোপ করা হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় কানাডা ও চীনও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছে।
কানাডার বড় পদক্ষেপ
কানাডা ১৫৫ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্যে ২৫% শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছে। সোমবার (৩ মার্চ) কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ঘোষণা দিয়েছেন, ট্রাম্পের নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার পরপরই তারা ১৫৫ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর ২৫% শুল্ক বসাবে।
কানাডা জানায়, প্রথম ধাপে ৩০ বিলিয়ন ডলারের পণ্যে শুল্ক আরোপ করা হবে, এরপর ২১ দিনের মধ্যে আরও ১২৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন পণ্য এই শুল্কের আওতায় আনা হবে।
কানাডার এ পদক্ষেপ যতদিন মার্কিন শুল্ক বহাল থাকবে, ততদিন কার্যকর থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
চীনের পাল্টা জবাব: কৃষিপণ্যে শুল্ক, মার্কিন কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) চীনও জানিয়ে দিয়েছে, তারা মার্কিন কৃষিপণ্যের ওপর ১০% থেকে ১৫% আমদানি শুল্ক বসাবে। এছাড়া, চীনা কর্তৃপক্ষ ২৫টি মার্কিন প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানি ও বিনিয়োগ নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে বলে জানা যায়।
চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ১০ মার্চ থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর করা হবে, যা মার্কিন মুরগি, গম, ভুট্টা, তুলা, সয়াবিন, সরগাম, গরুর মাংস, শূকরের মাংস, সামুদ্রিক পণ্য, ফল, সবজি ও দুগ্ধজাত পণ্যের ওপর প্রযোজ্য হবে।
ট্রাম্পের কড়া বার্তা
সোমবার (৩ মার্চ) ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেন, কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫% এবং চীনের ওপর ১০% অতিরিক্ত শুল্ক বসানো হবে এবং তা নিয়ে দরাদরির কোনো সুযোগ নেই।
এর আগেও, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদে কানাডা ১৬.৬ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক বসিয়েছিল। এবার পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ কানাডা মার্কিন জ্বালানি আমদানি সীমিত করার মতো কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে।
চীন, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের এই পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের কারণে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে বলে ধারণা করছেন অর্থনীতিবিদরা। বিশেষ করে জ্বালানি ও কৃষিপণ্যের বাজারে বড় ধরনের প্রভাব পরতে পারে।
এখন দেখার বিষয়, ট্রাম্প প্রশাসন কীভাবে এই প্রতিক্রিয়ার মোকাবিলা করে এবং বাণিজ্য যুদ্ধ আরও কতটা তীব্র হয়।
আপনার মতামত লিখুন :