গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল, শর্ত হামাসের জন্য

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৫, ১০:২৪ এএম

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল, শর্ত হামাসের জন্য

ছবিঃ সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত ইসরায়েল। তবে এজন্য তারা ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের কাছে কিছু শর্ত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সব ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তি এবং গাজাকে সম্পূর্ণভাবে নিরস্ত্রীকরণের শর্ত।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সা‍‍`য়ার মঙ্গলবার (৪ মার্চ) জেরুজালেমে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন,"আমরা গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি, তবে হামাসকে অবশ্যই সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে এবং গাজা উপত্যকাকে নিরস্ত্রীকরণ করতে হবে।"

এর আগে, ১ মার্চ গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হয়েছিল। ৩ মার্চ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, "হামাসের স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আমাদের জন্য একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।"

ইসরায়েল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এতে ৫০ দিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির শর্ত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

তবে নেতানিয়াহুর অভিযোগ, হামাস এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে।

যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হওয়ার পর, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তা ও পণ্য প্রবেশ বন্ধের নির্দেশ দেন। ইসরায়েলের দাবি, এই পণ্যগুলো হামাস অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে এবং সেই অর্থ দিয়ে তাদের সামরিক শক্তি পুনর্গঠন করছে।

তবে আন্তর্জাতিক মহল থেকে এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। কারণ,গাজায় খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা প্রবাহ বন্ধ করা হলে তা মানবিক সংকটকে আরও গুরুতর করবে। অনেক বিশ্লেষক এটিকে ‘যুদ্ধাপরাধের শামিল’ বলেও উল্লেখ করেছেন।  

গাজায় নতুন করে হামলার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা গাজাবাসী এখন নতুন করে উদ্বেগে পড়েছেন। তারা শঙ্কা করছেন, ইসরায়েলি বাহিনী আবারও বড় আকারের সামরিক অভিযান শুরু করতে পারে, যা মানবিক সংকট আরও বাড়াবে।

হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ এখনই কার্যকর করা উচিত। এবং এটি বাস্তবায়িত হলে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ও যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান সম্ভব।

যদিও ইসরায়েল স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত দিয়েছে, তবে তাদের শর্ত মেনে হামাস রাজি হবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। এদিকে, যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে, কারণ দুই পক্ষই নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে।

 

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
 

আরবি/এসএস

Link copied!