জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক উচ্চকমিশনারের কার্যালয়ে বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টার পর জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক জেনেভায় এই প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন।
প্রতিবেদনটিতে মূলত ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভের সময়কার হত্যাকাণ্ড ও দমন-পীড়নের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এটি জাতিসংঘের ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
এর আগে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের (ওএইচসিএইচআর) দপ্তর থেকে "বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টের আন্দোলন সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন" শীর্ষক একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে।
জাতিসংঘের সত্যানুসন্ধানী দলের এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় প্রায় ১,৪০০ জন নিহত হন। অধিকাংশই মিলিটারি রাইফেল ও প্রাণঘাতী মেটাল প্যালেটস লোড করা শটগানের গুলিতে প্রাণ হারান। এসব অস্ত্র সাধারণত বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবহার করে থাকে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সহিংসতার ফলে কয়েক হাজার মানুষ গুরুতর আহত হন এবং অনেকেই স্থায়ীভাবে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন।
রোববার (২ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস জানান, এই প্রতিবেদনটি জেনেভায় আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করা হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে জবাবদিহিতা, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সদস্য রাষ্ট্র ও বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।