বাড়ছে বাণিজ্য যুদ্ধের সম্ভাবনা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সব ধরনের যুদ্ধে প্রস্তুত চীন

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৫, ১১:৪৬ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সব ধরনের যুদ্ধে প্রস্তুত চীন

প্রতীকী ছবি

চীন যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, তারা যেকোনো ধরনের যুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য শুল্কের বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত করার পর যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিল চীন। 

বুধবার (৫ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর আরও শুল্ক চাপানোর পর, বিশ্ব অর্থনীতির শীর্ষ দুটি দেশ বাণিজ্য যুদ্ধের দিকে চলে এসেছে। ট্রাম্পের সেই সিদ্ধান্তের পর চীন দ্রুত মার্কিন কৃষি পণ্যের ওপর ১০-১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে প্রতিশোধ নিয়েছে।
চীনের দূতাবাস গত মঙ্গলবারের সরকারি বিবৃতি থেকে একটি লাইন পুনরায় পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে বলেছে, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্র চায় তা যে যুদ্ধই হোক, শুল্ক যুদ্ধ, বাণিজ্য যুদ্ধ বা অন্য কোনো ধরনের যুদ্ধ হোক, আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে প্রস্তুত।’
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে এটিই এখন পর্যন্ত চীনের পক্ষ থেকে দেওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী বক্তৃতা এবং সেটিও আবার এমন এক সময়ে দেওয়া হলো যখন ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনের জন্য বেইজিংয়ে জড়ো হয়েছেন নেতারা। 
চীন অবশ্য অতীতেও জোর দিয়ে বলেছিল, তারা যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত। গত বছরের অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং স্ব-শাসিত তাইওয়ান দ্বীপের চারপাশে সামরিক মহড়া চালানোর সময় যুদ্ধের জন্য তাদের প্রস্তুতি জোরদার করতে সৈন্যদের আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু সামরিক প্রস্তুতি এবং যুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।


এদিকে বুধবার চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং ঘোষণা করেছেন, চীন এই বছর আবার তার প্রতিরক্ষা ব্যয় ৭.২ শতাংশ বাড়িয়ে দেবে। চীনা প্রতিরক্ষা ব্যয়ের এই বৃদ্ধি প্রত্যাশিত এবং গত বছরের ঘোষিত পরিসংখ্যানের সাথে মিলে যায়। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘এক শতাব্দীতে অদেখা পরিবর্তনগুলো দ্রুত গতিতে বিশ্বজুড়ে প্রকাশিত হচ্ছে’। 
বিবিসি বলছে, বেইজিংয়ের নেতারা চীনের জনগণকে একটি বার্তা পাঠানোর চেষ্টা করছেন যে— তারা আত্মবিশ্বাসী যে দেশের অর্থনীতি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সেটাও এমনকি বাণিজ্য যুদ্ধের হুমকির মধ্যেও।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীতে চীন নিজেকে একটি স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে উপস্থাপন করতে আগ্রহী। একই সাথে, বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউক্রেনে যুদ্ধে জড়ানোর অভিযোগও তুলছে।
 

আরবি/এসএম

Link copied!