ছেঁড়া হলো ভারতের পতাকা

লন্ডনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের ওপর হামলার চেষ্টা

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৫, ০১:০৫ পিএম

লন্ডনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের ওপর হামলার চেষ্টা

ছবিঃ সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যে সফরের সময় হামলার মুখে পড়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। লন্ডনের চ্যাথাম হাউসের সামনে বিক্ষোভকারীরা তার গাড়ির কাছে গিয়ে হামলার চেষ্টা চালায় এবং ভারতের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) জানা যায়, খালিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত একদল কর্মীর বিক্ষোভের মুখে পড়েন জয়শঙ্কর।

কী ঘটেছিল? বুধবার রাতে লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে একটি আলোচনা সভায় যোগ দিতে যান জয়শঙ্কর। তখন খালিস্তানপন্থিরা পতাকা হাতে রাস্তার পাশে জড়ো হয়ে ভারতবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে।

কর্মসূচি শেষে জয়শঙ্কর বের হওয়ার সময় বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি হঠাৎ দৌড়ে এসে তার গাড়ির সামনে চলে যান এবং ভারতের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলেন।

সঙ্গে আরও কয়েকজন খালিস্তানপন্থি কর্মী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কনভয়ের কাছে এসে স্লোগান দিতে থাকে। প্রথমে পুলিশ কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত থাকলেও পরে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ঘটনায় জয়শঙ্করের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গুরুতর গাফিলতি দেখা গেছে।  

হামলার নেপথ্যে কারা?  

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই হামলার পেছনে খালিস্তানপন্থি নেতা গুরপতবন্ত সিং পন্নুনের সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে) জড়িত। এর আগেও এসএফজে ব্রিটেনে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দুরাইস্বামীর ওপর স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে হামলা চালিয়েছিল।

এ ছাড়া লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনেও বিক্ষোভ ও হামলার চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে সংগঠনটির বিরুদ্ধে।

জয়শঙ্করের কূটনৈতিক বৈঠক  

বুধবার ব্রিটেন সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক করেন জয়শঙ্কর। তারা দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা, জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধিসহ ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।

খালিস্তান আন্দোলন: পটভূমি  

খালিস্তান আন্দোলন মূলত ভারতের শিখদের জন্য একটি আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের দাবি নিয়ে শুরু হয়েছিল। ১৯৮০-এর দশকে ভারতের পাঞ্জাবে এ আন্দোলন উত্তাল হয়ে ওঠে এবং বহু সহিংসতার ঘটনা ঘটে।  

ভারতীয় সেনাবাহিনীর রক্তাক্ত অভিযানের পর আন্দোলন কিছুটা স্তিমিত হলেও, বিদেশে বসবাসকারী কিছু শিখ এই দাবিতে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই আন্দোলন নতুন করে সক্রিয় হয়েছে, বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ায়।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!