আয়ারল্যান্ড ইউক্রেনের ‘প্রতিরোধ’ বাহিনীতে যোগ দেবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন। তিনি জানান, আইরিশ সেনাদের ইউক্রেনের প্রতিরোধ বাহিনীতে পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।
তবে শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে আয়ারল্যান্ড প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বুধবার (৫ মার্চ) বার্তাসংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
লিভারপুলে আইরিশ-ব্রিটিশ শীর্ষ সম্মেলনে মাইকেল মার্টিন সাংবাদিকদের বলেন, “যদি যুদ্ধবিরতি হয় বা সংঘাত বন্ধ হয়, তাহলে আয়ারল্যান্ড সবসময় শান্তিরক্ষার জন্য উন্মুক্ত, কিন্তু আমরা কোনো প্রতিরোধ বাহিনীর অংশ হবো না।”
তিনি জোর দিয়ে আরও বলেন,“প্রতিরোধ বাহিনীতে যোগ দেওয়া এবং শান্তিরক্ষা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।”
ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ইউক্রেনে সেনা মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত, তবে তাদের ভূমিকা কী হবে, সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার আয়ারল্যান্ড সফরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মাইকেল মার্টিন। সেখানে তিনি শান্তিরক্ষা মিশনে আইরিশ বাহিনীর অংশগ্রহণের প্রস্তাব দেন।
আয়ারল্যান্ড সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য নয়, তবে দেশটির প্রায় ৮,৫০০ সেনা সদস্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। তবে, অন্য কোনো বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে দেশটির কঠোর নীতি রয়েছে।
বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির আলোকে আইরিশ সরকার “ট্রিপল লক” নামে একটি নিয়ম বাতিলের পরিকল্পনা করছে। এই নিয়ম অনুযায়ী, আয়ারল্যান্ডের সেনা মোতায়েনের জন্য জাতিসংঘের অনুমোদন প্রয়োজন।
তবে বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল, কারণ বিরোধী দলগুলো "ট্রিপল লক" নীতিকে আয়ারল্যান্ডের নিরপেক্ষতার অন্যতম ভিত্তি হিসেবে দেখে থাকে।
আপনার মতামত লিখুন :