ছাগল আর ভেড়ার খামারে হেঁটে বেড়াচ্ছেন এক যুবক। একটু পরপর ওই প্রাণীগুলোকে নিজ হাতে খাবারও তুলে দিচ্ছেন রুশ কসমেটোলজিস্ট ও স্টাইলিস্ট অ্যালেকজান্ডার দানিলভ। উচ্চমানের মলের আশায় এভাবে ওই পশুকে খাবার খাইয়ে হৃষ্টপুষ্ট করছেন তিনি। অপ্রয়োজনীয় ও নোংরা মনে হলেও এই মল থেকেই তৈরি হচ্ছে চুলের জন্য উন্নতমানের মাস্ক। চুলের বিশেষ যত্নের জন্য এই মাস্ক তৈরি করছেন ওই যুবক। রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে রয়েছে তার স্টুডিও। সেখানে বসেই নতুন তৈরি করা এই মাস্ক দিয়ে তরুণীদের চুলের চিকিৎসা করছেন তিনি।
খামারে রয়েছে বাহারি ধরনের ছাগল-ভেড়া। খাবার খেয়ে সেগুলো যখন মলত্যাগ করছে, সেগুলো সংগ্রহ করছেন সেই যুবক। তারপর সংগ্রহ করা সেই মল একটি স্বচ্ছ বাটিতে রাখেন তিনি। এরপর তাতে কয়েক ধরনের উপাদান মেশান ওই যুবক। একপর্যায়ে ফোমজাতীয় কিছু একটা মিশিয়ে সেই মিশ্রণটিকে ভালোভাবে দলাই-মথাই করতে থাকেন।
দানিলভ জানান, এই চিকিৎসা পেয়ে অনেক তরুণীর চুল ঝর ঝরে হয়েছে। তার স্টুডিওতে আসা এক তরুণীর চুলে বিশেষ এই মাস্ক পরিয়ে দিচ্ছেন দানিলভ। বিশেষ এই মাস্ক পড়ালে নাকি চুলের দাগ দূর হয়, এমনটাও দাবি এই যুবকের।
তিনি বলছিলেন, স্বর্ণকেশী চুলে এই মাস্ক লাগালে, হলুদ ছোপ বা দাগ দূর হয়।
বিশেষ ধরনের এই মাস্ক বানাতে বেশ কিছু উপকরণ ব্যবহার করেন দানিলভ। তার ভাষায়, চুলের একেবারে ভেতর যেন এই মিশ্রণ পৌঁছায় সে জন্য আমি লিপিড মাস্ক ব্যবহার করি। এ ছাড়া মিশ্রণটি বানাতে তেলেরও প্রয়োজন হয়। তাই আমি শিয়া ও ম্যাকাডামিয়া তেলও ব্যবহার করি।
চুলের এই মাস্ক লাগিয়ে উপকার পেয়েছেন দানিলভের একজন ক্লায়েন্ট এলেনা কিনিয়াজেভা। তিনি বলেন, পুরো প্রক্রিয়া শেষে চুল থেকে বাজে গন্ধও বের হয় না। কোনো স্টাইলিস্টের কাছে গিয়েও চুলের হলুদ ছোপ দূর ব্যর্থ হয়েছিলেন কিনিয়াজেভা। তখন দানিলভের এই মাস্কই তার চুলের যত্নে কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে। এতে কিনিয়াজেভার চুল ঘন ও মোটা হয়েছে।
রুশ এই স্টাইলিস্টের নতুন আবিষ্কার করা মাস্কের অবশ্য একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তিনি এখনও পর্যন্ত স্বর্ণকেশীতেই এই মাস্ক লাগিয়ে সফল হয়েছেন। অন্য রঙের চুলের ক্ষেত্রে নিজের এই মাস্কের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখেননি দানিলভ। তবে ভবিষ্যতে প্রচলিত উপাদান দিয়ে এমন এক্সপেরিমেন্ট চালিয়ে যেতে চান তিনি।
সূত্র : ভিয়োরি