শুক্রবার (৭ মার্চ) থেকে শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় কর্মসংস্থানভিত্তিক ভিসা H-1B-এর আবেদন প্রক্রিয়া। ২০২৬ অর্থবছরের জন্য এই ভিসার আবেদন গ্রহণ করছে ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (USCIS)। আবেদন গ্রহণ চলবে ২৪ মার্চ পর্যন্ত।
বর্ধিত ফি ও নতুন নিয়ম: এবারের আবেদনের জন্য ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে। পূর্বে মাত্র ১০ ডলার রেজিস্ট্রেশন ফি থাকলেও এবার তা বেড়ে ২১৫ ডলার করা হয়েছে, যা ২০৫০% বেশি। USCIS জানিয়েছে, অতিরিক্ত আবেদন কমানো এবং প্রশাসনিক ব্যয় মেটানোর জন্য এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
লটারি পদ্ধতিতে নির্বাচন: আবেদনকারীরা USCIS-এর অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। ২৪ মার্চের পর লটারি পদ্ধতিতে আবেদন বাছাই করা হবে এবং নির্বাচিত প্রার্থীদের ৩১ মার্চ ২০২৫-এর মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রতিটি আবেদনকারীর জন্য সমান সুযোগ
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, একই ব্যক্তির নামে একাধিক আবেদন করলে কোনো অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যাবে না। পূর্বে কিছু নিয়োগকর্তা একাধিক রেজিস্ট্রেশন করতেন, যা এবার থেকে কার্যকর থাকবে না। USCIS জানিয়েছে, এই পরিবর্তনের ফলে প্রতিটি আবেদনকারী সমান সুযোগ পাবেন এবং জালিয়াতি কমবে।
H-1B ভিসা কী এবং কারা আবেদন করতে পারেন?
এই ভিসার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো বিদেশি দক্ষ কর্মীদের নিয়োগ দেয়, বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি), প্রকৌশল, গবেষণা, স্বাস্থ্যসেবা, আইন, শিক্ষা এবং অন্যান্য পেশার জন্য।
প্রাথমিক যোগ্যতা:
✅ আবেদনকারীর সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম ব্যাচেলর ডিগ্রি থাকতে হবে।
✅ তিনি এমন কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাবেন, যা H-1B ভিসার জন্য স্পনসর করতে পারে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আবেদন করা সম্ভব হলেও ভারত, চীন, মেক্সিকো, ফিলিপাইন, কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া, ও পাকিস্তান থেকে আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি।
প্রতি বছর ৬৫,০০০ H-1B ভিসা অনুমোদিত হয়, পাশাপাশি ২০,০০০ অতিরিক্ত ভিসা দেওয়া হয় আমেরিকায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের জন্য।
H-1B নীতিতে পরিবর্তন ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ
USCIS ভিসার নির্বাচন পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছে, যাতে অনিয়ম ও জালিয়াতি বন্ধ করা যায়। তবে, মার্কিন অভিবাসন নীতিতে সাম্প্রতিক পরিবর্তনের ফলে অনেক আগের ভিসাধারীরা সমস্যায় পড়েছেন। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের কড়াকড়ির পর, অনেকেই গ্রিন কার্ডের জন্য অন্য দেশে আবেদন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস