সম্প্রতি সামরিক উত্তেজনার পর এবার কাশ্মীর ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছেন ভারত-পাকিস্তানের শীর্ষ কূটনীতিকরা। কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ঘোষণা দেন যে, কাশ্মীর মুক্ত করতে প্রয়োজনে তার দেশ ১০টি যুদ্ধ লড়তে প্রস্তুত।
অন্যদিকে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বলেছেন, পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকা আজাদ কাশ্মীর ভারতের সাথে যুক্ত হলেই মিটে যাবে সব সমস্যা।
এই মন্তব্যের পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে পাকিস্তানের শাহবাজ শরীফের সরকার। ইসলামাবাদ উল্টো ভারতকে কাশ্মীরের দখল ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে।
গত বুধবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনের চ্যাথাম হাউজে এক বক্তব্যে এস. জয়শঙ্কর বলেন, ভারত সরকার এখন পাকিস্তানের চুরি করা অংশটুকু ফেরত আনার অপেক্ষায় আছে। পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অন্তর্ভুক্ত হলেই নিমিষেই মিটে যাবে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ সংঘাতও।
কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে বলে জানান জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ৩৭০ ধারা বাতিল ও জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটের আয়োজন সেই প্রক্রিয়ারই অংশ। গত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারেও বিজেপির নেতারা পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
জয়শঙ্করের বক্তব্যের পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়। ইসলামাবাদ কাশ্মীর নিয়ে ভারতের দাবিকে ভিত্তিহীন ও অপপ্রচার হিসেবে আখ্যা দিয়ে কড়া সমালোচনা করেছে। পাকিস্তান বলছে, জম্মু-কাশ্মীরে ভারতের দাবি অবৈধ।
গত মাসেই কাশ্মীর দিবসে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান সরাসরি ভারতকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, কাশ্মীর মুক্ত করতে প্রয়োজনে আরও ১০টি যুদ্ধ লড়বে তার সেনারা! দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের এমন পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি ও সামরিক তৎপরতা অঞ্চলটিতে বড় ধরনের সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।