কেমন সিরিয়া চায় ইসরায়েল?

সিরিয়ায় বিভক্তি ও অনৈক্য সৃষ্টি করার জন্য ইহুদিবাদী ইসরায়েলি প্রচেষ্টার কথা প্রকাশ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইসরায়েল চেষ্টা করছে সিরিয়ার দামেস্কের নতুন সরকারকে মেনে না নেওয়ার জন্য ড্রুজদের রাজি করাতে। এজন্য ইসরায়েল কোটি কোটি ডলার ব্যয় করতে চায়।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো সিরিয়ায় বিভাজন এবং অনৈক্য সৃষ্টি করা।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতে, ইসরায়েল বিশ্বশক্তির কাছে সিরিয়ায় একটি নতুন রাষ্ট্র গঠনের ধারণা নিয়ে লবিং করছে, যেখানে স্বায়ত্তশাসিত গোত্রীয় অঞ্চলের একটি ফেডারেল ব্যবস্থা থাকবে, যে এলাকাকে ইসরায়েল সীমান্তবর্তী দক্ষিণ এলাকায় বেসামরিকীকরণ করা হবে।

চার দিনের আলটিমেটাম ইসরায়েলকে

বিস্তারিত পড়ুন

এর আগেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দক্ষিণ সিরিয়াকে বেসামরিকীকরণের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

বিশ্লেষকদের মতে, ইহুদিবাদী ইসরায়েলের লক্ষ্য হলো সিরিয়াকে দুর্বল ও বিচ্ছিন্ন করে রাখা।

এই প্রতিবেদন অনুসারে, যদিও দামেস্কের নতুন কর্তৃপক্ষ ফেডারেল ব্যবস্থা গ্রহণ করবে (এমন সম্ভাবনা কম), তবু ইসরায়েল তাদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আসাদ সরকারের পতনের পর বিগত তিন মাসে ইসরায়েল সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে যাতে দেশটির নয়া কর্মকর্তাদের হাতে অস্ত্র না পড়ে।

নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্প মনোনীত

বিস্তারিত পড়ুন

এদিকে, কিছু সিরিয়ার উপজাতীয় নেতারা উদ্বিগ্ন যে ইসরায়েল সিরিয়ার আরও বেশি ভূখণ্ড দখল না করে বসে। তারা বলছে, সিরিয়ার কুনেইত্রা প্রদেশটি কার্যত ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যা সীমান্তবর্তী তিনটি প্রদেশের মধ্যে একটি।

এমনকি সিরিয়ার ড্রুজ সম্প্রদায়ের কিছু নেতাও উদ্বিগ্ন যে ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদী আঞ্চলিক লক্ষ্যগুলো সিরিয়াকে আরও বেশি অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেবে। এবং দল-উপদল সৃষ্টি করে গভীর বিভাজনের মধ্য দিয়ে সীমান্তজুড়ে উত্তেজনা উস্কে দেবে।