ত্রিপুরায় এক বছরে ৭০০-র বেশি বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কঃ মুখে মধু, অন্তরে বিষ

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৫, ০৯:৫৭ এএম

বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কঃ মুখে মধু, অন্তরে বিষ

ছবিঃ সংগৃহীত

ভারত সবসময়ই বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বললেও কাজে যেন তা প্রকাশ পেল না।  ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গত এক বছরে ৭০০ জনের বেশি বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। 
২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালিত হয়।  

বিদেশি নাগরিক গ্রেপ্তারের পরিসংখ্যান

এক প্রতিবেদনে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ত্রিপুরা রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মোট ১,০৪৫ জন বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এর মধ্যে- ৭৩৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ২০২৩ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আরও ৭৮ জনকে গ্রেপ্তার হয়েছে। এছাড়া ৭১ জন রোহিঙ্গা এবং একজন নাইজেরীয় নাগরিক ২০২৩ সালে গ্রেপ্তার হয় ত্রিপুরা রাজ্যে। চলতি বছরে ৮ রোহিঙ্গা ও একজন নাইজেরীয়কেও আটক করা হয়েছে বলে তথ্য রয়েছে।  

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ও অনুপ্রবেশের কারণ

বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম ও ত্রিপুরার মোট ১,৮৭৯ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে ত্রিপুরার ৮৫৬ কিলোমিটার সীমান্ত রাজ্যটির জন্য দীর্ঘতম, যা তার মোট সীমান্তের প্রায় ৮৪ শতাংশ।  

এত দীর্ঘ সীমান্ত থাকা সত্ত্বেও ত্রিপুরার বাংলাদেশ সংলগ্ন অংশের বেশিরভাগ এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কিছু জায়গায় এখনো বেড়া দেওয়া হয়নি। সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামগুলোর স্থানীয় বিরোধ, বনাঞ্চল ও নদীপথের কারণে কিছু অঞ্চল উন্মুক্ত রয়ে গেছে, যা দিয়ে অনুপ্রবেশকে অবৈধ হিসেবেই বিবেচনে করা হয়। 

ত্রিপুরা পুলিশের মতে, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, মানব পাচার, কাজের সন্ধান এবং পারিবারিক পুনর্মিলনের উদ্দেশ্যে অনেকেই অবৈধভাবে সীমান্ত পার হচ্ছেন। এছাড়া দালাল চক্রের সক্রিয়তার কারণেও অনুপ্রবেশের হার বাড়ছে। তাই গ্রেপ্তারের হারও বেশি। 

সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জানান, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশ ছাড়ার পরই সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে বিএসএফ ও পুলিশের মহাপরিচালকের সঙ্গে একাধিকবার সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছি। সীমান্ত সুরক্ষিত রাখাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।”

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!