ঢাকা সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫

গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৫, ০৮:৩৮ এএম
ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় সব ধরনের মানবিক সহায়তায় অবরোধ আরোপের পর এবার সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী এলি কোহেন রোববার উপত্যকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের এক আদেশে স্বাক্ষর করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এক ভিডিও বার্তায় কোহেন বলেছেন, ‘আমি আজ গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার আদেশে স্বাক্ষর করেছি। জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে এবং যুদ্ধের পরের দিন থেকেই গাজায় হামাসের অস্তিত্ব না থাকার বিষয়টি নিশ্চিতে আমরা আমাদের সব ধরনের উপায় ব্যবহার করব।’

গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করার ইসরায়েলি সিদ্ধান্তের পূর্ণ প্রভাব এখনই স্পষ্ট নয়। তবে উপত্যকায় বিশুদ্ধ পানির সব প্ল্যান্ট ইসরায়েলি বিদ্যুতে পরিচালিত হয়।

গাজা উপত্যকায় প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সেখানকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের ওপর চাপ প্রয়োগের নীতি নিয়েছে ইসরায়েল। প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ গত সপ্তাহে শেষ হয়েছে। হামাস যুদ্ধবিরতির আলোচনার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে বাকি জিম্মিদের অর্ধেকের মুক্তি দাবি জানিয়েছে ইসরায়েল।

কিন্তু হামাস প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর পরিবর্তে দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তে আলোচনায় রাজি আছে বলে জানিয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠী বলেছে, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে আলোচনা শিগগিরই শুরু করার আহ্বান জানিয়ে মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা গুটিয়ে ফেলা হয়েছে।

জ্বালানি মন্ত্রী এলি কোহেন ইসরায়েলের বৈদ্যুতিক কর্পোরেশনের কাছে গাজায় বিদ্যুৎ বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। গাজার বেশিরভাগ এলাকা যুদ্ধে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে এবং জেনারেটর ও সৌর প্যানেলের মাধ্যমে সেখানকার কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এক সপ্তাহ আগে সব ধরনের খাবার সরবরাহের ওপর অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল। এরপর রোববার ২০ লাখের বেশি মানুষের এই উপত্যকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি মন্ত্রী।