বাসর রাতে প্রাক্তনের মেসেজ, ঘটনা গড়ালো আদালতে!

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৫, ০৯:৫২ পিএম

বাসর রাতে প্রাক্তনের মেসেজ, ঘটনা গড়ালো আদালতে!

প্রতীকী ছবি

বাসর রাতে নববধূর মোবাইলে একটি মেসেজ এসেছিল। সেটি চোখে পড়ে যায় বরের। আর তার জেরেই দুই পরিবারের মধ্যে শুরু হয় ঝামেলা। ঘটনা শেষ পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছায় থানায়। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানা এলাকায়।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানা এলাকার একটি গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। পাত্রের বাড়ি বীরভূমে। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত। পরিবারিকভাবেই ঠিক হয়েছিল বিয়ে। পাত্র ও বরযাত্রীরা মুর্শিদাবাদ গিয়েছিলেন।

শুক্রবার (৭ মার্চ) ভোর সাড়ে ৪টা নাগাদ সিঁদুরদান হয়। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষের পরেই বাসর অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো বর-নববধূ পাশাপাশি বসেছিলেন। এরপর কিছুক্ষণের জন্য নতুন বর বাইরে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু দ্রুত তিনি ফিরে আসেন। এসে দেখতে পান, নতুন বউ মোবাইল ফোনে মগ্ন হয়ে আছেন। জানা গেছে, মোবাইলে আসা একটি মেসেজ বরের নজরে পড়ে যায়। আর তারপরই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন তিনি।

হইচই শুরু হয়ে যায় বিয়েবাড়িতে। দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র বচসাও শুরু হয়। এদিকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বর সোজা থানায় গিয়ে হাজির হন। একে একে দুই পরিবারের সদস্যরাও থানায় হাজির হন। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে থানাতেই পুলিশ বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে। কিন্তু কখনও বর বেঁকে বসেন, কখনও আবার নববধূ সংসার করতে চান না। 

 

পাত্রপক্ষের দাবি, মেসেজে লেখা ছিল- ‘তুমি এখনই চলে এসো। আমি ঘর করতে রাজি আছি’। কনের বক্তব্য, যাকে নিয়ে সারা জীবন কাটাতে হবে, তিনি মোবাইলে আসা একটি মেসেজের জন্য এমন কাণ্ড ঘটাবেন! তা মানা যায় না। তাই বিয়ে হলেও স্বামীর ঘরে সংসার করতে পারবেন না তিনি।

এদিকে স্ত্রী হিসেবে তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন নতুন বরও। কনের বাড়ির লোকজন অনেক কিছু গোপন করেছে বলে দাবি তার। শুক্রবার দিনভর এই টানাপোড়েন চলতে থাকে।

একসময় বর ও পাত্রপক্ষ ফিরে যায় বীরভূমের বাড়িতে। বিষয়টি গড়ায় কান্দি মহকুমা আদালত পর্যন্ত। নববধূর গোপন জবানবন্দি নেয়া হবে বলে পুলিশ তাকে আদালতে পাঠায়। বিচারকের সামনে তিনি গোপন জবানবন্দি দেন। এরপর আদালতের নির্দেশেই তাকে হোমে পাঠানো হয়। কনের সাজেই ওই বধূ হোমে গেছেন বলে খবর।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

আরবি/এসএমএ

Link copied!