গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ইসরায়েলি হামলা থামেনি। নতুন করে আরও আটজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে। এছাড়া আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও সাতজন ফিলিস্তিনি নিহত হন। চিকিৎসকদের মতে, গাজার পূর্ব অংশে বেসামরিক জনগণের ভিড়ে চালানো বিমান হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েল গাজায় হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে, যা হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। একই সঙ্গে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা ইসরায়েলের অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে, যাতে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হয়।
এদিকে, মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ ও ইসরায়েলি প্রতিনিধিরা কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছেছেন, যেখানে তারা গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করবেন। এই পরিস্থিতিতে হামাসও নতুন করে আলোচনার ঘোষণা দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, গাজার দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের নেটজারিম এলাকায় একদল ফিলিস্তিনি ধ্বংসস্তূপের কাছে জড়ো হওয়ার পর ইসরায়েলি ড্রোন তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এছাড়া, রাফাহ শহরের শোকা গ্রামে আরেকটি ড্রোন হামলায় একজন ফিলিস্তিনি নারী নিহত হন।
শিশু হত্যার অভিযোগ
মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে এক শিশু নিহত হয়েছে। প্রথমে শিশুটি আহত হয়, পরে তার মৃত্যু হয়।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, এবং পুরো ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
গাজায় ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। তিন ধাপের এই চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময়, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি বাহিনীর গাজা থেকে প্রত্যাহারের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে বাস্তবে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও হামলা বন্ধ হয়নি, যা ফিলিস্তিনিদের মানবিক সংকট আরও বাড়িয়ে তুলছে।
ইতোমধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি শান্ত হবে কিনা, তা এখনো অনিশ্চিত।
সূত্র: আল জাজিরা, অন্যদিকে, আনাদোলু
আপনার মতামত লিখুন :