ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) বিচারের মুখোমুখি হতে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ম্যানিলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরে আইসিসির নির্দেশে দ্য হেগে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তার পরিচালিত মাদকবিরোধী অভিযানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগেই তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
দুতার্তে ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি মাদকবিরোধী অভিযান চালান, যেখানে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়। তার এই কঠোর নীতি বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।
৭৯ বছর বয়সি দুতার্তে হলেন এশিয়ার প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট, যাকে আইসিসিতে বিচারের মুখোমুখি হতে হলো।
ফিলিপাইন সরকারের বক্তব্য
ফিলিপাইনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘দুতার্তেকে বহনকারী বিমান এখন দ্য হেগের পথে। তিনি তার শাসনামলের রক্তক্ষয়ী মাদকবিরোধী অভিযানের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে জবাবদিহি করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আইসিসিকে কোনো সহায়তা করিনি, তবে ইন্টারপোলের নির্দেশ মেনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
দুতার্তে সবসময় আইসিসির সমালোচনা করতেন। যখন আদালত তার বিরুদ্ধে মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে তদন্ত শুরু করে, তখন ২০১৯ সালে তিনি ফিলিপাইনকে আইসিসির সদস্যপদ থেকে প্রত্যাহার করে নেন।
ফিলিপাইন পুলিশ জানায়, দুতার্তের শাসনামলে মাদকবিরোধী অভিযানে প্রায় ৬,২০০ সন্দেহভাজন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তবে মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, এই সংখ্যা আরও বেশি।
আইসিসির কৌঁসুলির মতে, প্রকৃত সংখ্যা ৩০,০০০-এর কাছাকাছি হতে পারে, যেখানে অনেকে পুলিশ বা অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন।
এখন সবার চোখ আইসিসির বিচারের দিকে, যেখানে সাবেক প্রেসিডেন্ট দুতার্তেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের জবাব দিতে হবে। তার এই বিচার বিশ্ব রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :