ঢাকা বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫

এবার আম্বানির সাথে ইলন মাস্কের চুক্তি!

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৫, ১১:০৩ এএম
ছবিঃ সংগৃহীত

ভারতে টেলিকম খাতে বড় চমক! মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও এবার ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের স্টারলিংক-এর সঙ্গে চুক্তি করেছে, যার মাধ্যমে ভারতে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হবে। এই সিদ্ধান্ত অনেকের জন্যই অবাক করার মতো, কারণ কিছু মাস আগেও দুই কোম্পানি ভারতে স্পেকট্রাম বরাদ্দের পদ্ধতি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিল।  

এই চুক্তির একদিন আগেই, ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম কোম্পানি ভারতী এয়ারটেল-ও স্টারলিংকের সঙ্গে একই রকম একটি চুক্তি করেছে। তবে, উভয় চুক্তিই ভারত সরকারের অনুমোদনের ওপর নির্ভর করছে।  

কিছু সপ্তাহ আগে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ইলন মাস্কের মধ্যে ওয়াশিংটনে এক বৈঠক হয়েছিল। তারা তখন মহাকাশ, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনা করেন। এর পরপরই স্টারলিংক ভারতের বাজারে প্রবেশের জন্য একের পর এক চুক্তি করছে, যা বিশেষজ্ঞরা মোদির ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্ত করছেন।  

কীভাবে কাজ করবে এই পরিষেবা?

- রিলায়েন্স জিওর মাধ্যমে ভারতজুড়ে রিটেল স্টোর ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ডিভাইস বিক্রি হবে।  
- জিও ব্যবহারকারীদের ইনস্টলেশন সহায়তাও দেবে, যাতে সহজেই পরিষেবা গ্রহণ করা যায়।  
- রিলায়েন্স আরও জানিয়েছে যে তারা স্পেসএক্সের সঙ্গে অন্যান্য প্রযুক্তিগত সহযোগিতার সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে।

আম্বানি বনাম মাস্ক: কে জিতল?

আম্বানির রিলায়েন্স চেয়েছিল ভারতের সরকার স্পেকট্রাম নিলামের মাধ্যমে বরাদ্দ করুক, যাতে তার কোম্পানির প্রতিযোগিতার সুবিধা থাকে। কিন্তু ইলন মাস্ক চেয়েছিলেন বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো প্রশাসনিকভাবে স্পেকট্রাম বরাদ্দ করা হোক। শেষ পর্যন্ত, ভারত সরকার মাস্কের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেয়, যা আম্বানির জন্য একটি বড় ধাক্কা ছিল।  

রিলায়েন্সের টেলিকম ব্যবসা এয়ারওয়েভ নিলামে ১৯ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে, তাই তারা চেয়েছিল স্টারলিংক যেন সহজেই বাজার দখল করতে না পারে। কিন্তু এখন, উল্টো তারা স্টারলিংকের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, যা দেখাচ্ছে যে ভারতের ইন্টারনেট বাজারে বড় পরিবর্তন আসছে!

কী হতে পারে ভবিষ্যতে? বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার অনুমোদন দিলে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ভারতীয় বাজারে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হতে পারে। ভারতের প্রত্যন্ত গ্রাম ও পাহাড়ি এলাকাগুলোতেও উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে এ চুক্তির ফলে।

আম্বানি ও মাস্ক একসঙ্গে কাজ করলেও তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা একেবারে শেষ হয়ে যায়নি বলেও মন্তব্য করছেন অনেকে। তবে, এই চুক্তি যদি সফল হয়, তাহলে ভারতে ইন্টারনেট ব্যবহারের ধারা বদলে যেতে পারে!

সূত্র: রয়টার্স