গৃহকর্মী সংকটে কুয়েত

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৫, ১২:২০ পিএম

গৃহকর্মী সংকটে কুয়েত

ছবি: সংগৃহীত

গৃহকর্মী খুঁজে পাচ্ছেন না কুয়েতের বাসিন্দারা। দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ৫৫ জন গৃহকর্মী চাকরি ছেড়ে যাচ্ছে । এ হিসাব অনুযায়ী,গত ১৮ মাসে চাকরি ছেড়ে দিয়েছে ৩০ হাজারের বেশি গৃহকর্মী।

কুয়েতের পাবলিক অথরিটি ফর সিভিল ইনফরমেশন (পিএসিআই)-এর পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের শেষে গৃহকর্মীর মোট সংখ্যা ৭ লাখ ৮০ হাজার ৯৩০ জনে নেমে এসেছে, যা ২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে ৮ লাখ ১১ হাজার ৩০৭ ছিল।

কর্মকর্তারা বলছেন, বিদেশি শ্রম সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা, উপসাগরীয় অঞ্চলে শ্রম চাহিদার বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ প্রবণতার পরিবর্তনের কারণে এই পতন ঘটছে। নিয়োগ চ্যালেঞ্জ ও আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির কারণে এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে।

কিছু নির্দিষ্ট জাতীয়তার ওপর কুয়েতের নিজস্ব নিষেধাজ্ঞাগুলো আরও কঠোর করা হয়েছে, যার ফলে শ্রম সরবরাহের সংকট আরও তীব্র হয়েছে।

গৃহকর্মী নিয়োগ অফিসের কর্মকর্তা হামাদ আল আলি জানান, কর্মীদের ওপর প্রি-অ্যারাইভাল ফি আরোপের কারণ দেখিয়ে এশিয়ার বেশ কিছু দেশ কুয়েতে শ্রম রপ্তানি কমিয়ে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ফিলিপাইন থেকে আসা গৃহকর্মীদের নথিভুক্ত করার সমস্যাটিও এখানে প্রভাব ফেলেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শ্রম সংক্রান্ত বিরোধের কারণে দেশটি থেকে গৃহকর্মী সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে।

হামাদ আল আলি আরও বলেন, বেশ কয়েকটি ‘হাই-প্রোফাইল’ অপরাধের ঘটনায় শ্রমিকদের জড়িত থাকার অভিযোগের পর বেশ কিছু কুয়েতি পরিবার গৃহকর্মীর ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দিয়েছে।

গৃহকর্মীর সংখ্যা কমলেও দেশটিতে এখনো প্রায় ৪৫০টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত গৃহকর্মী নিয়োগের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে, ক্রমবর্ধমান সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানই চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে।

অন্যদিকে প্রতিবেশী উপসাগরীয় দেশগুলোতে চাহিদা বাড়তে থাকায় কুয়েতে গৃহকর্মী সংকট আরও তীব্র হচ্ছে। কারণ কুয়েতের গৃহকর্মীরা ভালো চাকরির সুযোগ ও উন্নত কর্মপরিবেশের কারণে অন্য দেশগুলোর দিকে ঝুঁকছে।

কর্তৃপক্ষের মতে, যদি নিয়োগ নীতিতে পরিবর্তন বা আন্তর্জাতিক চুক্তির ব্যবস্থা না করা হয়, তাহলে এই ঘাটতি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে গৃহস্থালির শ্রম ঘাটতি ও সামগ্রিক পরিচর্যা অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
 

আরবি/এসএম

Link copied!