ঢাকা বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫

ভারতের মদপানেও যুক্তরাষ্ট্রের বাগড়া

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৫, ০১:০৩ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

ভারতের ৪টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞার পর এবার আমেরিকান অ্যালকোহল ও কৃষিজাত পণ্যের ওপর শুল্ক  আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এ প্রসঙ্গে কথা বলেন, যেখানে তিনি ভারতের পাশাপাশি কানাডা ও জাপানেরও উচ্চ শুল্ক হারকে তুলনা করেছেন।  

সংবাদ সম্মেলনে ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ‘কানাডা বহু দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের পরিশ্রমী নাগরিকদের ঠকিয়ে আসছে। কানাডার আমদানি শুল্ক হার খুবই অযৌক্তিক। শুধু কানাডাই নয়, আমি একটি চার্ট এনেছি যেখানে অন্যান্য দেশগুলোর তুলনামূলক শুল্ক হার দেখানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারত আমেরিকান অ্যালকোহলের ওপর ১৫০% শুল্ক আরোপ করেছে। আপনি কি মনে করেন, এর ফলে কেন্টাকি বোর্ন  ভারতীয় বাজারে প্রবেশ করতে পারবে? আমি তা মনে করি না। ভারতের কৃষিজাত পণ্যের ওপরও ১০০% শুল্ক রয়েছে। অন্যদিকে, জাপান আমদানি করা চালের ওপর ৭০০% শুল্ক আরোপ করেছে।’

তিনি বক্তব্যের সময় একটি চার্ট দেখান যেখানে ভারত, কানাডা ও জাপানের আমদানি শুল্কের তুলনা করা হয়। চার্টে ভারতের ত্রিবর্ণ পতাকার রঙে দুটি বৃত্ত দিয়ে ভারতের শুল্ক হারকে হাইলাইট করা হয়েছিল।  

ক্যারোলিন লেভিট আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পারস্পরিক ন্যায্য বাণিজ্যে বিশ্বাস করেন। এতদিন পর আমরা এমন একজন প্রেসিডেন্ট পেয়েছি যিনি সত্যিই আমেরিকান ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করছেন। তিনি শুধু ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্যনীতি চাইছেন। কিন্তু, দুঃখজনকভাবে, কানাডা গত কয়েক দশক ধরে আমাদের সঙ্গে সুবিচার করছে না।’

 

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাম্প্রতিক সময়গুলোতে ভারতের উচ্চ শুল্ক নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করে আসছেন। তিনি দাবি করেছেন, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যে অত্যধিক শুল্ক আরোপ করেছে। 

ট্রাম্প গত শুক্রবার এক ভাষণে বলেন, ‘ভারত তার উচ্চ শুল্ক হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে, ভারতের বাণিজ্য সচিব সুনীল বার্থওয়াল সোমবার (১১ মার্চ) সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছেন যে, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এখনো কোনো চূড়ান্ত বাণিজ্য চুক্তি হয়নি এবং আলোচনা চলছে।’

বার্থওয়াল ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় কমিটিকে জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের দাবির বিপরীতে ভারত এখনো তার শুল্ক নীতিতে পরিবর্তনের কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।

ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের বাণিজ্য নীতিতে পরিবর্তন আনার জন্য চাপ বাড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো ভারতের ওপর আরও কড়া বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা বা নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারে যদি আলোচনা ফলপ্রসূ না হয়।

এখন দেখার বিষয়, ভারত কূটনৈতিকভাবে কীভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এবং ভবিষ্যতে দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক কোন দিকে যায়।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস