পরমাণুর বিষয়ে অনড় অবস্থানে ইরান। তারা চুক্তি নিয়ে কথা বলতে রাজি নন। দেশটি হুঁশিয়ারি করেছে, তারা কারও হুমকিতে মাথা নত করবে না।
এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেকশিয়ান বলেছেন, ‘আমেরিকা যা ইচ্ছা তা-ই করে নিতে পারে!’
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছেন।
ওই চিঠির বিষয়বস্তুই ছিল পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা।
চিঠির কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি আশাবাদী, ইরান আলোচনায় রাজি হবে। কারণ, সেটা ওদের পক্ষে ভালো।’
তবে ইরান যদি তার প্রস্তাব মেনে আলোচনায় না বসে বিকল্প পথের কথা ভাবে, তা ‘মোটেই ভালো হবে না’ বলেও হুমকি দেন ট্রাম্প।
যদিও ইরানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, প্রেসিডেন্ট মাসুদ বলেন, ‘আমেরিকা সব সময় আদেশ এবং হুমকি দেয়, যা আমরা মেনে নেব না।’
‘আমরা তোমাদের (আমেরিকা) সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি নই। যা ইচ্ছা করতে পারো।’
কয়েকদিন আগে একই সুরে কথা বলেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনিও।
ট্রাম্প প্রশাসনকে নিন্দা করে খামেনি বলেন, ‘সমস্যা সমাধান লক্ষ্য নয়, ওদের উদ্দেশ্য আধিপত্য বিস্তার করা।’
শুধু তা-ই নয়, খামেনির মতে, ট্রাম্প অন্যদের ‘হেয়’ করতে চান।
দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসেই ইরানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। ইরানকে আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত করার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন।
বিশ্ব অর্থনীতি থেকে ইরানকে বিচ্ছিন্ন করতে এবং তাদের তেল রপ্তানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগ করেন ট্রাম্প।
এরপরই পরামণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য ইরানকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিঠি দেন বলে জানা গেছে।