ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চীন, রাশিয়া ও ইরান শুক্রবার (১৫ মার্চ) বেইজিংয়ে বৈঠকে বসবে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বৈঠকে রাশিয়া ও ইরান তাদের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের পাঠাবে।
২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়া ও ইরানের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তারা একটি কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। চীনের সাথেও এই দুই দেশের সম্পর্ক বেশ ভালো।
চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মা ঝাওশু এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও আলোচনার প্রস্তুতি: শুক্রবারেই নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একটি গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনার মূল বিষয় ইরানের ইউরেনিয়াম মজুদের পরিমাণ বৃদ্ধি, যা অস্ত্র-উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার কাছাকাছি পৌঁছেছে।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
ইরান দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করছে যে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায় না। কিন্তু জাতিসংঘের আণবিক শক্তি পর্যবেক্ষক সংস্থা (IAEA) জানিয়েছে, ইরান ৬০% মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে, যা প্রায় অস্ত্র-মানের ৯০% মাত্রার কাছাকাছি।
২০১৫ সালে ইরান যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (JCPOA) চুক্তি করেছিল। এর আওতায় পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করার শর্তে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন চুক্তি থেকে সরে আসে, এরপর ইরানের শর্ত মানা কমিয়ে দেয়।
চীন বলছে, তারা ইরানের বৈধ অধিকার রক্ষার পক্ষে এবং চায় পারমাণবিক আলোচনা দ্রুত পুনরায় শুরু হোক।
এই বৈঠক পারমাণবিক ইস্যু নিয়ে নতুন কোনো সমাধান আনতে পারবে কি? সেটাই এখন দেখার বিষয়!
সূত্র: রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :