আগামীকাল শুক্রবার ভারতে হোলি উৎসব উদযাপন করা হবে। যার কারণে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা সহ বিভিন্ন জায়গায় জুমার নামাজের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং মুসলিম সম্প্রদায় একত্রে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যায়।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে বুধবার (১২ মার্চ) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অযোধ্যার প্রধান ধর্মীয় নেতা মোহাম্মদ হানিফ এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। এটি সেই দিনটির জন্য একটি বিশেষ নির্দেশনা কারণ এটি রমজান মাসের দ্বিতীয় শুক্রবারও।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চন্দ্র বিজয় সিং বলেছেন, হোলি উৎসবের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এড়াতে শান্তি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মোহাম্মদ হানিফ বলেন, "হোলি উদযাপনের জন্য জুমার নামাজের সময় সমন্বয় করা হয়েছে। আমরা সব মসজিদকে দুপুর ২টার পর নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছি, কারণ বিকেল ৪:৩০ পর্যন্ত নামাজের সুযোগ থাকে।" তিনি মুসলিম সম্প্রদায়কেও আহ্বান জানিয়ে হোলি সময় ধৈর্যশীল এবং উদার থাকার জন্য বলেছেন।
হোলিকা দহন উদযাপন এবং নিরাপত্তার বিষয়টি অযোধ্যার জেলা প্রশাসক নিশ্চিত করেছেন। সমস্ত হোলিকা দহন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
এছাড়া কনৌজ জেলার ধর্মীয় নেতাও ঘোষণা করেছেন, সেখানে জুমার নামাজ দুপুর ২টার পরে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, সম্ভল জেলার এক সার্কেল অফিসার জুমার নামাজ নিয়ে বলেছিলেন, যারা হোলির রঙে অস্বস্তি বোধ করেন তাদের ঘরে থাকতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তার এ মন্তব্যে সমর্থন জানিয়েছেন।
অযোধ্যার লখনৌ ঈদগাহ এর ইমাম দুপুর ২টায় জুমার নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হিন্দুরা দুপুর ২:৩০ পর্যন্ত হোলি উদযাপন করবে এবং মুসলমানরা ২:৩০ এর পরে জুমার নামাজ পড়বে।