ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫

বিবাহবিচ্ছেদ থামাতে চীন সরকারের ‘কুলিং অফ পিরিয়ড’

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৫, ০৩:০২ পিএম
প্রতীকী ছবি

বিবাহবিচ্ছেদ রোধে কঠোর নীতি গ্রহণ করেছে চীন সরকার। বিচ্ছেদ প্রতিরোধে নানা বিধি-নিষেধ আরোপ করছে দেশাটি। বিশেষ করে নারীদের বিবাহবিচ্ছেদ নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। একসময় দেশটিতে বিবাহবিচ্ছেদ প্রায় নিষিদ্ধ ছিল। তবে এটিকে সরকারি চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত বলে দাবি অনেক নারীর।

মেকং নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি নির্দেশনার ফলে পুলিশ পারিবারিক বিরোধে হস্তক্ষেপ না করে দম্পতিদের নিজেদের মধ্যে সমাধানের পরামর্শ দিচ্ছে। আদালতগুলোও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিবাহবিচ্ছেদ মঞ্জুর না করে পুনর্মিলনে উৎসাহিত করছে।

সরকারি নীতির কারণে চীনের আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। দুই দশক আগে চীনে বিবাহবিচ্ছেদের হার ছিলো ৭০ শতাংশ। বর্তমানে সেই হার কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩৫ শতাংশে।

বিচ্ছেদ নিরুৎসাহিত করতে সরকার ‘কুলিং অফ পিরিয়ড’নামে একটি নিয়ম চালু করেছে। এর আওতায় বিচ্ছেদ চাওয়া দম্পতিদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ৩০ দিন অপেক্ষা করতে হয়। এই সময়ের মধ্যে তারা মত পরিবর্তন করলে বিচ্ছেদ কার্যকর হবে না। তবে নারী অধিকার কর্মীরা দাবি করছেন, এটি অনেক নারীকে নির্যাতনমূলক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে বাধ্য করছে।

২০১৬ সালে গৃহসহিংসতা প্রতিরোধে আইন প্রণয়ন করা হলেও বাস্তব প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আইন আনুযায়ী পুলিশ সহিংস স্বামীদের বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করতে পারে। এছাড়া অপরাধ চলতে থাকলে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি আছে এই আইনে। তবে বাস্তবে এটি কার্যকর হচ্ছে না।

নারী অধিকার কর্মীদের অভিযোগ, বিচারকরা প্রায়ই পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগ আমলে নিচ্ছেন না পাশাপাশি প্রয়োজনীয় প্রমাণ উপেক্ষা করছেন। ফলে অনেক নারী তাদের আইনি অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অনিচ্ছাসত্ত্বেও বৈবাহিক সম্পর্ক বজায় রাখতে বাধ্য হচ্ছেন চীনের অনেকেই।