একটি ওমব্যাট ছানাকে মায়ের কাছ থেকে সাময়িকভাবে আলাদা করে নেওয়ার ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন ইনফ্লুয়েন্সার সাম জোনস। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
সাম জোনস নিজেকে বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী ও পরিবেশ বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচয় দেন। কিন্তু তাঁর পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি রাতের অন্ধকারে রাস্তার পাশ থেকে একটি ওমব্যাট ছানাকে তুলে নিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছেন। শিশুটি চিৎকার করছে, আর তার মা উদ্বেগ নিয়ে ছুটে আসছে।
জোনস হাসতে হাসতে বলছেন, আমি একটা শিশু ওমব্যাট ধরেছি!
ক্যামেরাম্যানও হেসে বলেন, দেখো, মা ওমব্যাট তার পেছনে ছুটছে!
ভিডিওটি ভাইরাল হলে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। পরে তিনি ভিডিওটি মুছে ফেললেও বিতর্ক থামেনি।
অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক নিশ্চিত করেছেন যে জোনস স্বেচ্ছায় দেশ ছেড়েছেন। তিনি বলেন, আশা করি, অস্ট্রেলিয়া আর কখনো এই ব্যক্তিকে দেখতে পাবে না।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ একে লজ্জাজনক ঘটনা বলে অভিহিত করে কটাক্ষ করে বলেন, ওমব্যাটরা শান্তশিষ্ট, সুন্দর প্রাণী। এই তথাকথিত ইনফ্লুয়েন্সার যদি সত্যিই সাহসী হন, তাহলে তাঁর উচিত কুমিরের বাচ্চা চুরি করে দেখানো!
ঘটনার পর অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জোনস নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল ব্যক্তিগত করে ফেলেন এবং টিকটক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করেন।
অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ সুরক্ষা আইন অনুযায়ী-
- স্থানীয় বন্যপ্রাণীরা আইন দ্বারা সুরক্ষিত।
- প্রাণী নির্যাতনের সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছর কারাদণ্ড।
- ২,৩৫,৬০০ অস্ট্রেলীয় ডলার (প্রায় ১.৬ কোটি টাকা) পর্যন্ত জরিমানা।
এ ঘটনার ফলে, জোনস বিতর্কের মুখে অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। এই ঘটনা আবারও দেখিয়ে দিল যে বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে দায়িত্বশীল আচরণ করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ!