মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন এবং পুতিনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এরই মধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনীয় বাহিনীকে কুরস্কে আত্মসমর্পণের চূড়ান্ত নির্দেশ দিয়েছেন, যা ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
গত আগস্টে ইউক্রেন বাহিনী সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়ায় প্রবেশ করেছিল এবং কুরস্কসহ বেশ কিছু এলাকা দখল করেছিল
- রাশিয়া পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে ইউক্রেনীয় সেনাদের কুরস্কে ঘিরে ফেলেছে
- ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির জন্য ৩০ দিনের একটি চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছেন
- পুতিন বলেছেন, যুদ্ধবিরতির আগে ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে
ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা ও ইউক্রেনের উদ্বেগ
ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি পুতিনকে অনুরোধ করেছেন যেন কুরস্কে আটকে পড়া হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনাকে হত্যা না করা হয়। তিনি বলেছেন, যদি রাশিয়া ইউক্রেনীয় সেনাদের হত্যা করে, তবে এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে বড় গণহত্যা হবে।
এছাড়াও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং পুতিনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পুতিন আসলে যুদ্ধবিরতি বিলম্বিত করতে চাইছেন, তিনি শান্তি চান না। ফ্রান্সসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে। ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ- বিশেষত ব্রিটেন ও ফ্রান্স- ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।
বিশ্লেষকদের মতে, পুতিনের এই শর্ত ইউক্রেনের জন্য কঠিন এক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। যুদ্ধবিরতির পরিবর্তে ইউরোপে আরও উত্তেজনা বাড়তে পারে, যা সরাসরি সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে পারে।