বর্ণবাদী রাজনীতিবীদ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘৃণা করার অভিযোগ এনে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম রাসুলকে বহিষ্কার করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রালয়।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর বরাতে এ তথ্য জানান বার্তা সংস্থা এএফপি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ আফ্রিকার এ রাষ্ট্রদূতকে আর স্বাগত জানানো হবে না। হোয়াইট হাউস এ প্রসঙ্গে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ট্রাম্পকে ঘৃণা করেন এমন ব্যক্তিকে অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
তিনি এক্সের পোস্টে আরও বলেন, তার (রাষ্ট্রদূত) সঙ্গে আমাদের আলোচনার কিছু নেই। সুতরাং তিনি যুক্তরাষ্ট্রে (পারসোনা নন গ্রাটা) অবাঞ্ছিত ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হবেন।
রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করা যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিরল পদক্ষেপ। এটি ওয়াশিংটন ও প্রিটোরিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় সর্বশেষ সংযোজন।
এদিকে শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় তাদের দেশের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছে। দুই দেশের মধ্যে ‘কূটনৈতিক শিষ্টাচার’ বজায় রাখতেও তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের একটি আইনকে বর্ণবাদী হিসেবে উল্লেখ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকায় মার্কিন সহায়তা বন্ধ করে দেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার শ্বেতাঙ্গদের জমি ‘বাজেয়াপ্ত’ করছে বলে অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে গত সপ্তাহে ট্রাম্প উত্তেজনাকে আরও উসকে দেন। এক সেমিনারে ট্রাম্পের শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদের সমালোচনা করে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম রাসুল বলেন, ট্রাম্পের মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন আন্দোলন হচ্ছে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ। যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান জাতিগত বৈচিত্র্যের বিরুদ্ধেই দাঁড়িয়েছে তার শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ।
আপনার মতামত লিখুন :