ইরান সরকার সম্প্রতি নারীদের হিজাব পরিধান সম্পর্কিত নিয়মাবলী কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ড্রোন এবং একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ‘নাজের’, যা দিয়ে সাধারণ মানুষ হিজাব না-পরা নারীদের নিয়ে পুলিশের কাছে রিপোর্ট করতে পারবেন।
সংবাদ সংস্থা এপি’র প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন সিস্টেমের আওতায় ড্রোন দিয়ে রাস্তাঘাট, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন সড়কে নারীদের পোশাক পরিধানের উপর নজরদারি করা হচ্ছে। তেহরানের আমিরকবির বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সফটওয়্যারও স্থাপন করা হয়েছে, যা মুখ শনাক্তকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে হিজাব না-পরা নারীদের চিহ্নিত করতে সহায়তা করে।
এছাড়া, সড়কগুলোতে স্থাপন করা নজরদারি ক্যামেরা এবং বিশেষ সফ্টওয়্যার নারীদের পোশাকবিধির উপর নজর রাখছে। ‘নাজের’ অ্যাপের মাধ্যমে, যেখানে কোনো নারী হিজাব পরেননি, সেখানে তাকে দেখে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো যাবে। এমনকি, যদি কোনো অ্যাম্বুলেন্সেও হিজাববিহীন নারী দেখা যায়, তখনও এই অ্যাপ ব্যবহার করে অভিযোগ জানানো যাবে।
এই ধরনের নজরদারি ও শাস্তির বিধান ইরানের মহিলাদের জন্য বাধ্যতামূলক হিজাব পরিধান প্রথাকে আরও শক্তিশালী করেছে। ২০২২ সালে মহসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে গিয়েছিল, যা হিজাব আইন ও নারীদের স্বাধীনতার প্রতি দেশে বিদ্যমান বিরোধের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে, ইরানে পোশাক ও হিজাব সম্পর্কে এমন কঠোর নিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে, যার মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা এবং অন্যান্য নারীরা তাদের প্রতিবাদী অবস্থান প্রকাশ করে চলেছেন।