ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে অবস্থানরত ইউক্রেনীয় সেনারা রুশ বাহিনীর দ্বারা ঘিরে পড়েনি এবং তারা এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, রাশিয়া হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনাকে সম্পূর্ণভাবে ঘেরাও করে ফেলেছে। তবে জেলেনস্কি সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী কুরস্কে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি
রাশিয়া দাবি করেছে, তারা সুদজা শহর দখল করে নিয়েছে এবং এর আশপাশের রুবানশিনা ও জাওলেশেঙ্কা নামের দুটি গ্রাম পুনরুদ্ধার করেছে। অন্যদিকে, ইউক্রেন দাবি করছে, তারা পোকরোভস্ক অঞ্চলে যুদ্ধক্ষেত্র স্থিতিশীল করতে সক্ষম হয়েছে।
জেলেনস্কির মতে, রাশিয়া সুমি অঞ্চলে নতুন আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং এই হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে ইউক্রেন ও তার মিত্ররা সচেতন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি ট্রাম্পের ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নীতিগতভাবে সমর্থন করেন, তবে কিছু শর্ত মেনে না নিলে যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে সমর্থন করতে পশ্চিমা মিত্ররা নতুন পরিকল্পনা করছে এবং প্রতিরক্ষা কৌশল চূড়ান্ত হবে।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেন একটি নতুন লং নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যার পাল্লা প্রায় ১০০০ কিলোমিটার (৬২১ মাইল) পর্যন্ত হতে পারে।
ভবিষ্যৎ শঙ্কা
রাশিয়ার সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রুশ বাহিনী ইউক্রেনীয় সেনাদের বিতাড়িত করতে খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এদিকে, ইউক্রেন বলছে, রাশিয়া কূটনীতিকে উপেক্ষা করছে এবং যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করছে।
বর্তমানে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সংঘাত আরও জটিল আকার ধারণ করছে, যেখানে দুই পক্ষই নতুন কৌশল নিচ্ছে এবং যুদ্ধবিরতি নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত।
আপনার মতামত লিখুন :