হোলি উৎসবে রং খেলতে রাজি হয়নি যুবক। কিন্তু নাছোড়বান্দা তার বন্ধুরা। তাতেও রং মাখতে নারাজ ওই যুবক। এতেই রেগে যায় বন্ধুরা। ক্রোধের বশে যুবকটিকে তিন বন্ধু লাথি মারতে শুরু করে। চলে বেল্ট দিয়ে মারধর। এরই মধ্যে একজন ওই যুবককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি গত বুধবার সন্ধ্যায় রাজস্থানের দৌসা জেলার রালওয়াস গ্রামে ঘটেছে।
দৌসা থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) দীনেশ আগরওয়াল জানিয়েছেন, প্রায় ২৫ বছর বয়সী তিন বন্ধু অশোক, বাবলু এবং কালুরাম। স্থানীয় একটি গ্রন্থাগারে চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির পড়া করছিলেন। মাঝে সেখানে যোগ দেন তাদেরই বন্ধু হংসরাজ।
পড়া শেষ হতেই অশোক, বাবলু এবং কালুরাম হংসরাজের গায়ে রং দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করতে থাকেন। কিন্তু বারে বারেই রং মাখতে অস্বীকার করেন হংসরাজ। এতেই প্রচণ্ড রেগে যান হংসরাজের তিন বন্ধু অশোক, বাবলু এবং কালুরাম।
অভিযোগ, তাদের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় হংসরাজের উপর নির্য়াতন শুরু করে ওই তিনজন। প্রথমে লাথি মারতে মারতে হংসরাজকে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। তারপর চলে বেল্ট দিয়ে মারধর। এরই মধ্যে ওই তিনজনের একজন ওই যুবককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এই হত্যার ঘটনা জানাজানি হতেই নিহত হংসরাজের ক্ষুব্ধ পরিবারের সদস্য এবং গ্রামবাসীরা মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। বুধবার রাত ১টা পর্যন্ত এলাকায় জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করে। বিক্ষোভকারীরা হংসরাজের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ, পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি এবং অভিযুক্ত তিনজনের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।
তবে পুলিশি আশ্বাসের পর মরদেহটি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।