মণিপুরের চুরাচান্দপুরে সোমবার হমার এবং জোমি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের পর সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
মণিপুর প্রশাসনের এক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম পিটিআই-কে এ তথ্য জানিয়েছেন।
হমার জাতিগোষ্ঠীর এক নেতার ওপর হামলার একদিন পর কারফিউ জারির এ ঘটনা ঘটেছে । সম্প্রদায়ের নেতারা হামলাকারীদের চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালে জেলা প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা আইন অনুযায়ী ১৬৩ ধারায় এ অঞ্চলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল।
পুলিশের বক্তব্য
পুলিশের এক কর্মকর্তা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, ‘চুরাচান্দপুরে সংঘর্ষের পর সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে কারফিউ জারি করা হয়েছে।’
আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ‘চুরাচান্দপুর পুলিশ সুপারের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা ভাঙার গুরুতর আশঙ্কা দেখা দেয়, যার ফলে কারফিউ জারি করা হয়।’
মণিপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এক আদেশে বলা হয়েছে, ‘চুরাচান্দপুর পুলিশ সুপারের রিপোর্ট অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের গুরুতর আশঙ্কা রয়েছে, যা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে এবং জনজীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি করতে পারে।’
ডেপুটি কমিশনারের আবেদন
ডেপুটি কমিশনার ধরুণ কুমার সবার কাছে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের জন্য সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
হমার ইনপুইয়ের বিবৃতি
সরকারি সূত্রে জানা যায়, হমার ইনপুইয়ের সাধারণ সম্পাদক রিচার্ড হমারকে রবিবার সন্ধ্যা ৭:৩০ টায় জেনহাং লামকায় একদল পুরুষ আক্রমণ করেন।
হমার ইনপুই এই হামলার নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে এবং দাবি করেছে, হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক, না হলে তারা নিজেদের পদক্ষেপ নেবে।
সূত্রের মতে, রিচার্ড হমার একটি গাড়ি চালাচ্ছিলেন, যা একটি দুই চাকার যানকে ধাক্কা দেওয়ার উপক্রম হয়। এর ফলে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়, যা শেষমেশ হামলায় পরিণত হয়।
বিক্ষোভ এবং শাটডাউন
হমার ইনপুইয়ের নেতৃবৃন্দ এবং হমার ভিলেজ ভলান্টিয়ারস (HVV) ফেরজওয়াল এবং জিরিবাম জেলায় সম্পূর্ণ শাটডাউন ঘোষণা করেছে।
বর্তমানে মণিপুরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সূত্র: এনডিটিভি