‘আফগানিস্তান আমাদের কখনোই শত্রু নয়, কেন যে দেশটিকে শত্রু ভাবা হচ্ছে? কেন মুসলিম হয়ে অন্য মুসলিমের সঙ্গে যুদ্ধ করার চেষ্টা করছেন’ পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দেশের সরকারের উদ্দেশে এ কথা বলেছেন।
পাকিস্তান সরকার বর্তমানে আফগান সীমান্ত নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিতে এমন প্রশ্ন তুলেছেন ইমরান খান।
ইমরান খানের বোন আলিমা খান মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সাংবাদিকদের তার ভাইয়ে এ বক্তব্য জানান।
আলিমা খান আরও বলেন, ‘মুসলিম ভাইদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার পরিকল্পনা কেন?’ এই মন্তব্যগুলো ইমরান খান তাকে ব্যক্তিগতভাবে বলেছেন, যখন তিনি আদিয়ালা জেলে তার ভাইয়ের সাথে দেখা করেন।
বুধবার (১৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জিও টিভি।
আলিমা জানান, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা বলেছেন, তার দল শুধুমাত্র তার অনুমতি নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সভায় যাবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, ‘গ্রাফ দেখুন, ২০২১ সালের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ কমেছিল, কিন্তু ২০২২ সালে তা আবার বাড়তে শুরু করেছে।’
ইমরান খানের বোন বলেন, ইমরান বর্তমানে পত্রিকা পড়ছেন না এবং তার টিভি সেটও বন্ধ রয়েছে।
আলিমা খান আরও জানান, গত ছয় মাসে ইমরান শুধুমাত্র চারবার তার সন্তানদের সাথে ফোনে কথা বলেছেন।
ইমরান খানের মন্তব্যটি এমন সময় এলো যখন দেশে সন্ত্রাসবাদের ক্রমবর্ধমান ঘটনা - বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানে - জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির ইন-ক্যামেরা সভায় দেশের বেসামরিক ও সামরিক নেতৃত্বের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ, সেনাবাহিনী প্রধান (সিওএএস) জেনারেল আসিম মুনির, ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজি আইএসআই) ডিরেক্টর জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মালিক, চার প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ওমর আইয়ুব এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সদস্যদেরসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেননি।
সামরিক নেতৃত্ব দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের অবহিত করেন।
গত সপ্তাহে নিষিদ্ধ ঘোষিত বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) সন্ত্রাসীদের ট্রেনে ভয়াবহ হামলার কয়েকদিন পর উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্স ২০২৫ রিপোর্টে প্রকাশিত উদ্বেগজনক পরিসংখ্যানের প্রেক্ষাপটেও অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এতে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের দ্বারা দ্বিতীয় সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে স্থান পেয়েছে।