ভারতের আসাম রাজ্যের ডিমা হাসাও জেলার পরিত্যক্ত কয়লাখনি থেকে আরও তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যার ফলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার। খনির ভেতরে এখনও আটকা পড়ে আছেন পাঁচজন শ্রমিক।
মৃতদের মধ্যে একজনের নাম, লিগেন মগর (২৭) ওই তরুণ ডিমা হাসাও জেলার কালামাটি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। অন্য দুই মৃতের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
এর আগে সোমবার (৬ জানুয়ারি) উমরাংসোয় এলাকায় কয়লার খোঁজে খনিতে নামেন শ্রমিকরা, তাদের মধ্যে একজন জলপাইগুড়ির বাসিন্দাও ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে খনিতে পানি প্রবাহিত হয়ে ৯ জন শ্রমিক আটকা পড়ে। তাদের মধ্যে বুধবার একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়, যার নাম গঙ্গাবাহাদুর শ্রেষ্ঠা, যিনি নেপাল থেকে কাজ করতে এসেছিলেন।
এদিকে, আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) উদ্ধারকাজের সপ্তম দিন চলছে, তবে এখনও কয়লাখনির ভেতরে আটকে থাকা শ্রমিকদের পরিস্থিতি সম্পর্কে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী, আসামের বিপর্যয় মোকাবেলা দল, ভারতীয় সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ডিমা হাসাওয়ের এ কয়লাখনিটি অবৈধ নয় বলে দাবি করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, তবে এটি ১২ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। তিন বছর আগে পর্যন্ত খনিটি আসাম খনিজ উন্নয়ন পর্ষদের অধীনে ছিল।
উদ্ধারকাজের জন্য বিশাখাপত্তনম থেকে বিশেষ নৌবাহিনী দল পাঠানো হয়, যার সদস্যরা ডাইভিং ও জটিল উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রশিক্ষিত।
আপনার মতামত লিখুন :