ঢাকা শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫

ফোনে কথা বলার জন্য ট্রাম্পকে এক ঘণ্টা বসিয়ে রাখলেন পুতিন!

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৫, ০১:৪৭ পিএম
পুতিন-ট্রাম্প ফোনালাপ ছবি: এনডিটিভি

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মঙ্গলবার ফোনালাপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফোনে প্রায় দু’ঘণ্টা আলোচনা হয় তাদের মধ্যে।

কিছু সংবাদমাধ্যম সূত্র উল্লেখ করে দাবি করেছে, ফোন ধরার আগে ট্রাম্পকে অন্তত এক ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়েছেন পুতিন। নির্ধারিত সময়ে তিনি ফোন ধরেননি। তার জন্য কোনো  তাড়াহুড়াও করেননি। ওই সময়ে তিনি মস্কোয় রাশিয়ান শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে আলোচনার জন্য ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের টেলিফোনে আলোচনা হবে বলে ঠিক হয়। আগেই তার দিনক্ষণ জানানো হয়েছিল।

রাশিয়ার সময় অনুযায়ী, দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে আলোচনার সময় নির্ধারিত হয়েছিল মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে। কিন্তু ঘড়িতে ৪টা বেজে যাওয়ার পরেও পুতিন বৈঠক ছেড়ে বের হননি। শিল্পপতিদের কনফারেন্সে হালকা মেজাজে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।

কনফারেন্সে উপস্থিত রাশিয়ার কর্মকর্তারা পুতিনকে তাড়া দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও তিনি বৈঠক শেষ করার বিষয়ে তাড়াহুড়া করেননি বলে দাবি।

পুতিনের সঙ্গেই ছিলেন রুশ শিল্পপতিদের ইউনিয়নের প্রধান আলেকজান্ডার শখিন। তিনি প্রেসিডেন্টকে সময় মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। শখিন জানান, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ঘোষণা করেছেন- মস্কোর সময় অনুযায়ী বিকাল ৪টা বেজে গেছে। ওই সময়ে পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনে আলোচনা হওয়ার কথা। দেরি হয়ে যাচ্ছে কি না, জানতে চান শখিন।

বৈঠকের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, শখিনের কথা হেসে উড়িয়ে দেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। কাঁধ ঝাঁকিয়ে বলেছেন, ‘তার কথা শুনতে হবে না। ওটাই তার কাজ।’

এরপর শখিন বলেন, ‘এ বিষয়ে ট্রাম্প কী বলেন, তা দেখতে হবে।’ সঙ্গে সঙ্গেই পুতিন জবাব দেন, ‘আমি তো ট্রাম্পের নাম নিইনি। আমি পেসকভের কথা বলেছি।’ এই ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে। তবে এর সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনা হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই ট্রাম্প দাবি করছেন, পুতিন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়ে যাবেন বলে তার বিশ্বাস। প্রায় দু’ঘণ্টার ফোনালাপের পর ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিনের সঙ্গে দারুণ আলোচনা হয়েছে। আমরা অনেক জিনিস নিয়ে কথা বলেছি। শান্তি ফেরানোর বিষয়ে আলোচনা করেছি।’

ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার পর ৩০ দিনের জন্য ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোয় হামলা বন্ধে রাজি হয়েছেন পুতিন। তবে সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে এখনো  তিনি সায় দেননি। অন্যদিকে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট আংশিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছেন বলে জানা গেছে।