ঢাকা রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫

বৈঠক হচ্ছে না ইউনূস-মোদির

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৫, ০৫:৫৪ পিএম
বৈঠক হচ্ছে না ইউনূস-মোদির
ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২ থেকে ৩ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেকের ষষ্ঠ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে অংশ নেবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের শীর্ষ নেতারা।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ড. ইউনূসের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, যা গতকাল বার্তাসংস্থা এএনআইকে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

তবে ড. ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হচ্ছে না বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। সংবাদমাধ্যমটি তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা প্রতিদিন ভারতের বিরুদ্ধে সমালোচনা করায় দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছে, যা এই বৈঠকের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেনি।

একটি সূত্র হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছে, ‘সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা একাধিকবার একে-অপরের সামনে আসবেন, তাই হয়তো (ড. ইউনূস ও মোদির মধ্যে) সংক্ষিপ্ত আলোচনা হতে পারে, তবে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের সম্ভাবনা নেই।’

অপর একটি সূত্র বলেছে, ‘ঢাকা থেকে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিদিনই সমালোচনা আসছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে মোদি-ইউনূস বৈঠক আয়োজন করা কঠিন।’

বিমসটেক সম্মেলন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নানা ইস্যুতে সংকটপূর্ণ। বিশেষ করে, বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে ভারত আশ্রয় দেওয়ার কারণে এবং সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বিতর্কের জেরে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।

ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইলেও দিল্লি এখনো কোনো জবাব দেয়নি, যা সম্পর্ক আরও জটিল করে তুলেছে।

এক ভারতীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক মন্তব্য করেছেন, ‘মোদির সঙ্গে বৈঠক হলে ড. ইউনূস হাসিনা প্রসঙ্গসহ বিভিন্ন বিষয় উত্থাপন করতে পারেন। তাই মোদি সরাসরি সাক্ষাৎ এড়িয়ে যেতে চাইছেন।’

বঙ্গোপসাগরীয় বহুখাতীয় প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা (বিমসটেক) সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে অংশ নেবে।

সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয়গুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের সাম্প্রতিক অবস্থা কীভাবে প্রভাব ফেলবে, তা বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।