যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভয়েস অব আমেরিকা (VOA)-এর কয়েকজন সাবেক সাংবাদিক। তারা অভিযোগ করেছেন যে, ট্রাম্প প্রশাসন সংবাদমাধ্যমের নিরপেক্ষতা নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ নিয়েছিল।
সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের সময় মার্কিন গণমাধ্যম সংস্থা (USAGM)-এর তৎকালীন প্রধান মাইকেল প্যাক ভয়েস অব আমেরিকাসহ অন্যান্য সরকারি সম্প্রচার সংস্থাগুলোর স্বাধীনতা হরণ করতে চেয়েছিলেন।
মামলায় যে অভিযোগগুলো তোলা হয়েছে-
১. ট্রাম্প প্রশাসন সাংবাদিকদের ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করেছিল।
২. নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার নীতি লঙ্ঘন করে সংবাদের ওপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা হয়েছিল।
৩. প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক সংবাদ প্রকাশ করায় কয়েকজন সাংবাদিককে হয়রানি ও বরখাস্ত করা হয়।
প্রেক্ষাপট: ট্রাম্প ও সংবাদমাধ্যমের টানাপোড়েন
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে বেশ কয়েকবার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন এবং সংবাদমাধ্যমকে জনগণের শত্রু বলেও অভিহিত করেন। তার প্রশাসনের সময় ভয়েস অব আমেরিকা ও অন্যান্য সরকারি গণমাধ্যমগুলোর নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।
২০২০ সালে মাইকেল প্যাক দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ভয়েস অব আমেরিকার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এমনকি কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয় এবং তাদের চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
মামলার অন্যতম আবেদনকারী এক সাংবাদিক বলেন, ‘আমাদের কাজ ছিল সত্য তুলে ধরা, কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন সেটাকে বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছিল। আমরা ন্যায়বিচার চাই।’
এদিকে, ট্রাম্পের আইনজীবী ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন এবং বলেছেন যে এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি মামলা।
বিশ্লেষকদের মতে, এই মামলা যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক প্রভাবের প্রশ্নকে আরও উত্থাপন করবে এবং ট্রাম্পের আসন্ন নির্বাচনী প্রচারণার মধ্যেই নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করবে।
আপনার মতামত লিখুন :