যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন এবং সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসসহ কয়েকজনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার স্থানীয় সময় রাতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে পাঠানো এক মেমোতে তিনি এ নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছে সিএনএন।
এর আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র তুলে নেন ট্রাম্প। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারিকে এবং গত নির্বাচনে কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করেন ট্রাম্প।
২০২১ সালে ক্ষমতায় বসে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন বাইডেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসেই ট্রাম্প ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিয়ে নিলেন।
ট্রাম্প বলেন, আমি নিশ্চিত যে এসব ব্যক্তির গোপনীয় তথ্যে প্রবেশাধিকার কোনোভাবেই আর জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। তার এ তালিকায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের নামও রয়েছে।
প্রেসিডেন্টের এ নির্দেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হওয়ার কথা কিনা তা নিশ্চিত না হওয়া গেলেও ওয়াশিংটনে এখন রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটদের মধ্যে বিরোধ যে তুঙ্গে এবং ট্রাম্প যে তার বিরুদ্ধাচরণকারীদের একহাত নিতে মোটেই পিছপা হচ্ছেন না, তা স্পষ্ট।
সপ্তাহান্তে ট্রাম্প তার নিউ জার্সির বেডমিনস্টার গলফ ক্লাব অবকাশযাপন কেন্দ্রে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পর হিলারি, কমলাসহ কয়েকজনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র তুলে নেওয়ার মেমো ইস্যু করা হয়।
প্রেসিডেন্টের এ নির্দেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হওয়ার কথা কিনা তা নিশ্চিত না হওয়া যায়নি।
যাদের ছাড়পত্র তুলে নেওয়া হচ্ছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক রিপাবলিকান নেতা লিজ চেনি, বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভ্যান, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে থাকা রাশিয়া বিশেষজ্ঞ ফিওনা হিল, সাবেক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা অ্যাডাম কিনজিনগার, জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক আইনজীবী মার্ক জাইদ।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টরা সাধারণত কিছু সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য পান, যে কারণে তাদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এটা সাধারণ রীতি, অনেক দিন ধরে চলে আসছে।
আপনার মতামত লিখুন :