মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উচ্চাকাঙ্ক্ষা যেন বেড়েই চলছে। এবার, রাশিয়ার ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে একটি প্রধান ‘বিনোদন কেন্দ্র’ পরিণত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। এর বিনিময়ে ট্রাম্প মস্কোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা বিবেচনা করছেন।
পুলিৎজার পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট আমেরিকান সাংবাদিক সেমুর হার্শ হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনের গাজা শহরকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা’ বানানো নিয়ে ট্রাম্পের পরিকম্পনা যখন বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে, তখন ক্রিমিয়া অঞ্চলকে `অবকাশ যাপন কেন্দ্র` বানানোর ধারণার বিষয়টি সামনে এলো। যদিও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো একবাক্যে সেই পরিকম্পনা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
গত জানুয়ারিতে শপথ গ্রহণের পর থেকে ট্রাম্প ইউক্রেন সংঘাতের অবসান ঘটাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ট্রাম্পের প্রশাসন ইঙ্গিত দিয়েছে, সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে ক্রিমিয়া এবং ডনবাসের কিছু অঞ্চলের ওপর মস্কোর সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত তারা।
ইউক্রেন এই অঞ্চলগুলোকে তাদের নিজস্ব বলে দাবি করে আসছে এবং সেগুলো ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু মস্কো জোর দিয়ে বলেছে, এসব নিয়ে আর কোনও আলোচনা হবে না।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) মার্কিন সাংবাদিক হার্শ সাবস্ট্যাক ব্লগে একটি পোস্টে জানিয়েছেন, ট্রাম্পের বৃহত্তর লক্ষ্য হলো অর্থনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ক উন্নত করা।
তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প ২০১৪ এবং ২০২২ সাল থেকে রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নিতে এবং ক্রিমিয়াকে একটি প্রধান আন্তর্জাতিক অবকাশ যাপন কেন্দ্র পরিণত লক্ষ্যে পুতিনের সঙ্গে একটি অংশীদারিত্ব গঠন করতে চাইছেন। তারা ডনবাস নিয়েও একই পরিকল্পনা করতে পারে।
হার্শ তার পোস্টে উল্লেখ করেছেন, ক্রিমিয়া-কে রাশিয়ার অংশ বলে স্বীকার করতে পারে আমেরিকা। ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি জো বাইডেনের প্রশাসনের থেকে একদমই আলাদা।
গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য ট্রাম্প এবং পুতিন আরেকটি ফোনালাপে যুক্ত হন। উভয় পক্ষের বিবৃতি অনুসারে, আলোচনাটি ফলপ্রসূ হয়েছে।