দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়া ২০টিরও বেশি দাবানলে দেশটির অন্তত তিনজন দমকল কর্মী ও একজন সরকারি কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
এর জেরে দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সরকার। শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া দাবানল থেকে অন্তত ১৫টি গ্রামের ২ শতাধিক বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
দেশটির দমকল বিভাগের একজন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, দাবানলে চারজনের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন দমকল কর্মী এবং একজন সরকারি কর্মকর্তা।
দক্ষিণ কোরিয়ার বন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কেবল শনিবারেই ১৬টি স্থানে দাবানলের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া দেশজুড়ে আরও কয়েকটি অঞ্চলে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সারাদেশে একযোগে দাবানলের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় উলসান এবং উত্তর ও দক্ষিণ গিয়ংসাং প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বন সংস্থা উত্তর ও দক্ষিণ গিয়ংসাং প্রদেশ, বুসান এবং ডায়েজিয়নসহ ১২টি স্থানে দাবানলের সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে।
রাজধানী সিউল থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে দক্ষিণ গিয়ংসাং প্রদেশের সানচেওংয়ের অবস্থান। দাবানলের কারণে ওই অঞ্চলের মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম খবর দিয়েছে।
দেশটিতে ছড়িয়ে পড়া এই দাবানলে জলবায়ুর চরম পরিবর্তনের সঙ্গে তীব্র দাবদাহ অথবা ভারী বৃষ্টিপাতের মতো বৈরী আবহাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন।
উল্লেখ্য, আগুনের কারণে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মহাসড়কের বেশ কয়েকটি অংশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, যার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর উলসান এবং বুসানকে সংযুক্তকারী একটি অংশও রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :