অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে। এ নিয়ে ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪৯ হাজার ৭৫০-এ পৌঁছেছে।
এছাড়া, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল লেবাননেও হামলা চালিয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ৭ লেবানিজ নিহত হয়েছেন এবং আরও অনেকেই আহত হয়েছেন। এতে চার মাস আগে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কথিত রকেট হামলার জবাবে ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে ব্যাপক বোমা বর্ষণ করেছে। এতে ৭ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা টায়ার এবং তুলিন অঞ্চলে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, কারণ সেখান থেকে ইসরায়েলের মেটুলা শহরে তিনটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে এই রকেট হামলার দায় অস্বীকার করেছে হিজবুল্লাহ।
অন্যদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ৭ অক্টোবর থেকে চলমান যুদ্ধে ৪৯ হাজার ৭৪৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৩ হাজার ২১৩ জন আহত হয়েছেন। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজারো নিখোঁজ ব্যক্তিকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হলে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০-এর বেশি হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে, যুদ্ধবিরতির দাবিতে তেল আবিবের রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার ইসরায়েলি বিক্ষোভকারী। তারা গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তিরও দাবি জানাচ্ছেন।
এদিকে, মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনের ওপরও হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইয়েমেনি গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, হোদেইদা বিমানবন্দরে তিনটি এবং লোহিত সাগরের আল সালিফ বন্দরে একটি হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, শুক্রবার (২২ মার্চ) থেকে তারা গাজা, লেবানন ও সিরিয়ায় ২০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
সূত্র: বিবিসি ও আল জাজিরা
আপনার মতামত লিখুন :