গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে ইসরায়েলের বিমান হামলায় হামাসের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা সালাহ আল-বারদাওয়িল নিহত হয়েছেন। রোববার (২৩ মার্চ) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন হামাসের এক কর্মকর্তা।
স্থানীয়দের মতে, এই হামলায় বারদাওয়িল ও তার স্ত্রী দুজনই নিহত হয়েছেন। তবে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেননি।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় বড় আকারের হামলা শুরু করে। তারা হামাসকে দায়ী করে ১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করে, যা প্রায় দুই মাস ধরে সংঘর্ষ প্রশমিত করে ছিল।
হামাস এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং উল্টো ইসরায়েলকেই কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করেছে।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বারদাওয়িল ও তার স্ত্রী নামাজ আদায় করছিলেন, তখন ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র তাদের তাঁবুতে আঘাত হানে।
বারদাওয়িল এর আগে হামাসের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছেন এবং স্থানীয় গণমাধ্যমে নিয়মিত উপস্থিত হতেন। তিনি মঙ্গলবার থেকে গাজায় ইসরায়েলের নতুন সামরিক অভিযানের শুরু হওয়ার পর থেকে নিহত হওয়া প্রায় ১০ জন হামাস কর্মকর্তার একজন।
ইসরায়েল ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালের হামলার প্রতিশোধ নিতে হামাসকে ধ্বংস করার জন্য সামরিক অভিযান শুরু করে। ওই হামলায় প্রায় ১,২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, এরপর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৯,৫০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ব্যাপকভাবে ঘরবাড়ি ও অবকাঠামোর ধ্বংস সাধিত হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি ও রয়টার্স