যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে আবারও উঠে এসেছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকারী বাংলাদেশে চরমপন্থি হামলা এবং সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার নিয়ে প্রশ্ন করেন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রকে।
তবে সে প্রশ্নের সরাসরি কোনো জবাব দেননি পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র। একইসাথে, ট্রাম্প প্রশাসন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যেকোনো বিষয় কূটনৈতিক সমাধানের প্রতি সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৪ মার্চ) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নকারীর প্রশ্নের জবাবে এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস।
এদিনের ব্রিফিংয়ে ওই প্রশ্নকারী দাবি করেন, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান বাংলাদেশে আসন্ন ইসলামপন্থি চরমপন্থি হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
সন্ত্রাসবাদ দমনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে আরেকটি আফগানিস্তানে পরিণত হওয়া থেকে রোধ করতে যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?
এ ছাড়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের অধীনে সাংবাদিকের বেআইনি কারাদণ্ডের বিষয়টি কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে দেখছে এবং বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার জন্য মার্কিন সরকার কীভাবে কাজ করছে?
জবাবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, আমরা এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হই। তবে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়গুলোতে আমরা ফিরে যাই তা হলো— কূটনৈতিক পরিস্থিতি।
তিনি আরও বলেন, সৌভাগ্যবশত আমাদের এমন একটি প্রশাসন এবং একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন, যিনি কূটনৈতিক সমাধানের প্রতি সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বিশ্বজুড়ে আমাদের বন্ধুদের সাথে মুখোমুখি কথোপকথন করেন এবং অবশ্যই আমাদের শক্তির বিষয়েও প্রভাব ফেলেন।
ট্যামি ব্রুস আরও বলেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট জানেন আমরা প্রতিটি দেশ, অবশ্যই বাংলাদেশ এবং অন্যান্য দেশ এর মানবাধিকারের নিয়ম মেনে চলার এবং তাদের নিজস্ব নাগরিকরা তাদের সরকারের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করে সে সম্পর্কে সচেতন।