ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে। প্রায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করে, যা ইতোমধ্যে নারী ও শিশুসহ শত শত ফিলিস্তিনির প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।
বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বাড়তে থাকায়, গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি পুনর্বহালের আহ্বান জানিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। একই সঙ্গে তিনি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের ভিত্তিতে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেন।
গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে আলোচনা করেন।
আলোচনায় গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতি পুনর্বহাল এবং ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের জন্য আলোচনায় ফেরার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে সানচেজ লিখেছেন- “ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির এই মর্মান্তিক বিপর্যয়ের অবসান ঘটাতে হবে আমাদের।”
গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলা: ভয়াবহ মানবিক সংকট
১৮ মার্চ থেকে নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১,৬০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায়:
৫০,১০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু এবং ১,১৩,৭০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে জানা যায় বিভিন্ন মাধ্যম থেকে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
২০২৩ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ইসরায়েলকে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (ICJ) মামলার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনা কি সম্ভব?
বিশ্লেষকরা বলছেন, মিসর ও জর্ডানের মতো দেশগুলোর মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। তবে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি অর্জন এখনো অনিশ্চিত।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের আহ্বান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপকে আরও বাড়াবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।