রবিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় সামরিক হুমকি যে দেশ

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৫, ১০:০৯ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় সামরিক হুমকি যে দেশ

প্রতীকী ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় সামরিক হুমকি বলা হয়েছে চীনকে। 

গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এমন উদ্বেগ জানানো হয়।  

বিভিন্ন দেশ ও অপরাধী সংস্থাগুলো কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সৃষ্ট নিরাপত্তা হুমকি নিয়ে দেশটির শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির সারসংক্ষেপ হিসেবে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

এতে বলা হয়, বেইজিং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে দুর্বল করার জন্য তার ‘জবরদস্তিমূলক ও ধ্বংসাত্মক ক্ষতিকারক প্রভাব’ আরও সম্প্রসারিত করবে। 

তাদের দৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ওয়াশিংটন তাদের অবদমিত করার চেষ্টা করছে এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে উৎখাতের জন্য কাজ করছে। এমন চিন্তাভাবনা থেকে তারা এর পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করবে।

প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন অভিযানকে চ্যালেঞ্জ জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন। এমন মন্তব্য করে প্রতিবেদনে বলা হয়, তাইওয়ান দখলের প্রচেষ্টায় ইতিমধ্যেই অগ্রগতি অর্জনে সমর্থ হয়েছে বেইজিং।

তবে চীনা নেতৃত্ব তার মূল স্বার্থ রক্ষায় এবং নিজের অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দৃশ্যমান উত্তেজনা কমাতে চাইবে। এর নজিরও মিলেছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিজেকে ‘অত্যধিক আক্রমণাত্মক’ হিসেবে দেখানোর ক্ষেত্রে রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার মতো দেশগুলোর তুলনায় চীন অনেক বেশি সতর্ক ছিল।

বেইজিংয়ে গতকাল বুধবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ নিয়ে কথা বলেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও ​​জিয়াকুন। তিনি মার্কিন প্রতিবেদনটিকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত করে ‘চীনের হুমকিকে অতিরঞ্জিত’ করে দেখানোর অভিযোগ করেন।

তাঁর ভাষায়, আমেরিকা বছরের পর বছর ধরে এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন ও পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। তবে কাউকে ছাড়িয়ে যাওয়ার বা কারও স্থলাভিষিক্ত হওয়ার কোনো ইচ্ছা বেইজিংয়ের নেই।

মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান তুলসি গ্যাবার্ড মঙ্গলবার এক সিনেট শুনানিতে বলেন, বিদ্যমান গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী কৌশলগত প্রতিযোগী হচ্ছে চীন।

এদিকে সম্প্রতি ছাঁটাই হওয়া মার্কিন সরকারি কর্মীদের নিয়োগের চেষ্টা করছে একটি চীনা নেটওয়ার্ক। এটি পরিচালনা করছে চীনের গোপনীয় একটি প্রযুক্তি সংস্থা। সম্প্রতি তারা চাকরির বিজ্ঞাপনও দিয়েছে।

চারটি প্রতিষ্ঠান ব্যাপকভাবে এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত। তাদের সম্পর্কে খুব কম তথ্যই পাওয়া যায়। রয়টার্সের প্রতিবেদন এবং লেসারের গবেষণা অনুসারে, কিছু ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোর ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু একই রকম, একই সার্ভারে হোস্ট করা অথবা অন্যান্য ডিজিটাল সংযোগ রয়েছে।

আরবি/এসএম

Link copied!