যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ এক তুর্কি ডক্টরেট শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার এবং তার ভিসা বাতিল করেছে। ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সোচ্চার হওয়ার কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুমেসা ওজতুর্ক (৩০) বোস্টনের কাছে গ্রেপ্তার হন।
রুমেসার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে অংশগ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। তার আইনজীবী মাশা খানবাবাই বোস্টনের ফেডারেল আদালতে পিটিশন দাখিল করেছেন। পিটিশনে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, রুমেসা বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করতে ২২ মার্চ তার বাসা থেকে বের হলে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের কর্মকর্তারা তাকে গ্রেপ্তার করেন।
রুমেসার গ্রেপ্তারকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদে বোস্টন থেকে প্রথম অভিবাসী শিক্ষার্থী গ্রেপ্তারের ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যেই ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে সংশ্লিষ্ট কিছু বিদেশি শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বা আটক করার চেষ্টা করছে।
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন জানান, রুমেসা হামাস সমর্থনকারী কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। তবে এসব কার্যক্রমের বিস্তারিত জানানো হয়নি। তিনি টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নিবন্ধের সহলেখক ছিলেন, যেখানে ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ এবং ফিলিস্তিনি গণহত্যার স্বীকৃতির দাবি জানানো হয়েছিল। এই নিবন্ধের এক বছর পর রুমেসাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আইনজীবী মাশা খানবাবাই মন্তব্য করেছেন, দেশজুড়ে যে উদ্বেগজনক প্রবণতা চলছে তার অংশ হিসেবে রুমেসার গ্রেপ্তার হয়েছে। বিষয়টি বাক্স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এদিকে, ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা রুমেসার গ্রেপ্তারে নিন্দা জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে ম্যাসাচুসেটসের সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেনও রয়েছেন। তিনি এটিকে নাগরিক স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ হিসেবে মন্তব্য করেছেন।