শাশুড়িকে ডাইনি সন্দেহে অপবাদ ছড়ান পুত্রবধূ। এরপর সেই ডাইনি অপবাদ দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুত্রবধূ ও তার এক আত্মীয়কে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি পশ্চিমবঙ্গের মালদহের জহরাতলা গোবিন্দপুর এলাকার।
ভুক্তভোগী শাশুড়ির অভিযোগ, কয়েক বছর আগে তার দুই ছেলে পরপর অসুস্থ হয়ে মারা যায়। এরপর থেকেই তাকে ডাইনি অপবাদ দেয় তার পুত্রবধূ। এছাড়াও ছেলের সঙ্গে তার স্ত্রীর কলহ লেগেই থাকে। এজন্যও তাকে দায়ী করেন ছেলের স্ত্রী। ডাইনি অপবাদে প্রায়ই মারধর করতেন বলে জানান তিনি।
ঘটনার দিনও তাকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করছিলেন তারই পুত্রবধূ। তবে লোকজন চলে আসায় প্রাণে বেঁচে যান। এই ঘটনায় ইংলিশ বাজার থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী।
কিন্তু অভিযুক্ত পুত্রবধূর দাবি, এটি মূলত পারিবারিক কলহ। ‘ডাইনি’ বিষয়টি অতিরঞ্জিত।
এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ মালদা শাখার সভাপতি সুনীল দাস বলেন, ‘ডাইনি সন্দেহে খুন বা পুড়িয়ে মারার চেষ্টার ঘটনা আমাদের জেলায় নেই। এখন যে ধরনের ঘটনা ঘটছে সেগুলো পারিবারিক গন্ডগোল নয়তো জমি নিয়ে গন্ডগোল। জহতলা গোবিন্দপুর এর ঘটনাটি ঠিক সেই রকমই।’
এর আগে, গত সেপ্টেম্বরে ডাইনি সন্দেহে দুই আদিবাসী মহিলাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার হরিষরা আদিবাসী পাড়া গ্রামে। তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর রাত ১১টায় দুই মহিলার মরদের উদ্ধার করে পুলিশ। তারা হলেন- খেপি মুর্মু(৪৫) এবং ডলি হেমব্রম (৩৫)।
পুলিশ জানায়, দুই মহিলাকেই পিটিয়ে মারা হয়। এমনকি শরীরে ধারলো অস্ত্রের আঘাত ছিল। পুলিশ তদন্ত করে ছয়জনকে আটক করে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে রামপুরহাট মর্গে পাঠায়।